পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ।] ব্রাহ্মণবর্গ। । 8१ এবং অধম গোসাইবিশেষের তদ্রুপ সম্বন্ধ। এরূপ আংশিক দোষস্পর্শ স্বভাবসিদ্ধ। অদ্বৈতবাদের কু ফল ও খানে নহে, তাহা অন্যত্র –আজিও ভারতীয়ের নৈতিক নিয়মে জগৎ স্থ কোন জাতি অপেক্ষা নিকৃষ্ট নহে, পাতিব্ৰত্য আজিও ভারতে মূৰ্ত্তিমতী হইয়া বিরাজ করিতেছে, আজিও যদি দয়া-দক্ষিণ্যাদি গুণ ভূমণ্ডলে থাকে, তবে সে ভারতেই আছে। অদ্বৈতবাদিতার দোষ এই যে, তাহা ভারতচিত্তকে পূর্বকৰ্ম্মপাশ এবং তদানুসঙ্গিক অদৃষ্টের উপর নির্ভর করিতে শিক্ষা দিয়া তাহার স্বাবলম্বনবৃত্তির হ্রাস করিয়াছে, নৈরাশ্য তৎস্থলে বিরাজ করিতেছে ; মায়াবাদ শিক্ষা দিয়া পৃথিবীর উপর মমতাশূন্য করিয়াছে ; ‘মানব-জীবন পাপ-ভার বহন মাত্র ইহা শিক্ষা দ্বারা সংসারে আস্থাশূন্য এবং নিরুৎসাহ করিয়াছে ; ভয়াবহ পুনর্জন্মতত্ত্ব শিক্ষা দিয়া লৌকিক বিষয় হইতে চিত্ত অপসারিত করিয়া, অলৌকিক বিষয়ে অযথা আকর্ষণ করিয়াছে। ইহাই অদ্বৈতবাদিতার দোষ, ইহাই কু ফল, ইহাই ভারতের অধুনাতন দুর্দশার অন্যতম কারণ। ৪ । আচার ব্যবহার । মনু [সংহিতা ১০ ৮২] কহিয়াছেন যে ব্রাহ্মণের। আপন ধৰ্ম্ম প্রতিপালন করিবেন। জীবিকা হেতু তৎপরিবর্তে ক্ষত্ৰিয়বৃত্তি অবলম্বন করিতে পারেন । তাহার অভাবে বৈশ্যবৃত্তি অর্থাৎ পশুপালনাদি এবং কৃষিকাৰ্য্যাদি করিতে পারেন। রামায়ণেও এ নিয়মের প্রভাব দেখিতে পাওয়া যায় ; এবং মহাভারতের সময়েও ইহা পূর্ণভাবে প্রচলিত ছিল। এই \3