পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় } - ব্রাহ্মণবা । - ۰ن t —“প্রিয়ংবদ, যে ঋতু তোমার প্রিয়, এ ক্ষণে তাহাই উপস্থিত। ইহার প্রভাবে সংবৎসর যেন অলঙ্কত হইয়। শোভিত হইতেছে। নীহারে সর্ব শরীর কর্কশ হইতেছে, পৃথিবী শস্যপূর্ণ, জল স্পর্শকরা দুষ্কর, এবং অগ্নি সুখসেব্য হইতেছে। এই সময়ে সকলে নবান্ন-ভক্ষণার্থ ত্যাগয়ণ নামক যাগের অনুষ্ঠান দ্বারা পিতৃগণ ও দেবগণের তৃপ্তিসাধন করিয়া নিষ্পাপ হইয়াছে। জনপদে ভোগ্য দ্রব্য সুপ্রচুর, গব্যের অভাব নাই ; জয়লাভার্থী ভুপালগণও দর্শনার্থ তন্মধ্যে সতত পরিভ্রমণ করিতেছেন । এ ক্ষণ সূর্য্যের দক্ষিণায়ন, সুতরাং উত্তর দিক্ তিলকহীন শ্রীলোকের ন্যায় হতস্ত্রী হইয়া গিয়াছে স্বভাবতঃ হিমালয় হিমে পূর্ণ, তাহাতে আবার সূৰ্য্য অতিদূরে, সুতরাং স্পষ্টতই উহার হিমালয় এই নাম সার্থক হইতেছে। দিবসের মধ্যাহ্নে রৌদ্র অত্যন্ত সুখসেব্য, গমনাগমনে কিছুমাত্র ক্লান্তি নাই, কেবল জল ও ছায়া সহ্য হয় না । সূর্যের তেজ মুছ হইয়াছে, হিম যথেষ্ট, অরণ্য শূন্যপ্রায়, এবং পথ নীহারে নষ্ট হইয়া গিয়াছে। এ ক্ষণে রজনী তুষারে সতত ধূসর হইয়া থাকে, কেহ অনাবৃত স্থানে শয়ন করিতে পারে না, পুষ্যানক্ষত্র দৃষ্টে রাত্রিমান অনুমান করিতে হয়, শীত যৎপরোনাস্তি, এবং প্রহর সকল সুদীর্ঘ । চন্দ্রের সৌভাগ্য সূর্য্যে সংক্রমিত হইয়াছে, এবং চন্দ্রমণ্ডলও হিমাবরণে আচ্ছন্ন থাকে, ফলতঃ এ ক্ষণে উহা নিশ্বাসবাম্পে আবিল দৰ্পণতলের ন্যায় পরিদৃশ্যমান হয়। পূর্ণিমার জ্যোৎস্না হিমজালে স্নান হইয়াছে, সুতরাং উহা উত্তাপমলিনা সীতার ন্যায় লক্ষিত হইতেছে, কিন্তু বলিত্তে কি,