পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] ব্রাহ্মণবর্গ । Yo A চতুঃপাশ্বস্থ বনভাগে ঋতুপ্রভাব দেখিয়া এই বর্ণনা করিয়াছেন। আমাদের সাময়িক ঋতুপ্রভাব হইতে উহ। কতদূর অন্তর । ঋতুপ্রভাবে বনভূমির বর্ণনা ইহা অপেক্ষা স্বভাবেচিত হইতে পারে কি না সন্দেহ। পিতৃপুরুষগণ অল্পমুখে বনাশ্রমে বাস করিতেন না । সজিক্ষপ্ত সার । দ্বিতীয় অধ্যায়ে বর্ণিত বিষয় সঙেক্ষপে পরিদর্শন করিলে জ্ঞাত হওয়া যায় যে, বাল্মীকির দ্বারা উক্ত প্রমাণ অনুসারে এবং রামায়ণের ন্যায় অদ্বিতীয় কাব্য রচনার সম্ভবত হেতু সংস্কৃত বাল্মীকির সময়ে জীবিত ভাষা ছিল। নানা কারণে প্রমাণিত যে, প্রাকৃতাদি ভাষার অস্তিত্ব ংস্কৃতের জীবন-কালের বিরুদ্ধ-প্রমাণ-দায়ক নহে, উহার অশিক্ষিত সাধারণের ভাষা মাত্র । লিখনপ্রণালী ইহার পূর্ব হইতে প্রচলিত হইয়াছে। সংস্কৃত সাহিত্য ও শাস্ত্রসমুহের বিশেষ শ্ৰীবৃদ্ধি হইয়াছে। বেদ-ব্ৰাহ্মণ, বেদান্ত, বেদাঙ্গ আদি অধ্যয়ন এবং শিক্ষার প্রধান অঙ্গ স্বরূপ । বেদ এখন পূর্বের ন্যায় বোধসুগম নহে, তাহার অর্থব্যক্তি বেদাঙ্গ বিশেষরূপ অধ্যয়ন ব্যতীত সুসম্পন্ন হয় না । জ্যোতিষ সম্বন্ধে অনেক উৎকৃষ্ট এবং অপূর্ব তত্ত্ব সকল আবিষ্কৃত হইয়াছে । তাহা এবং অন্যান্য চিহ্নবিশেষ শুভাশুভের হেতু বলিয় তাহাতে বিশ্বাস লোকের মনে দৃঢ় বদ্ধমূল