পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১২১

"ათზr ৰালীকি ৪ জৎসাময়িক বৃত্তান্ত । দ্বিভার হইয়াছে। পূর্বপ্রচলিত বেদ-শাখা এবং চরণ-সমুহের ক্রমে নিপাত,সাধন হইয়া, উপন্যাসে পরিণত হইতে আরম্ভ হইয়াছে । এখনও কৰ্ম্মকাণ্ড বেদবিধিবৎ, অর্থাৎ কল্পসূত্র এবং ব্রাহ্মণ অনুযায়ী হইয়া থাকে, পূর্বাপেক্ষা অধিক আড়ম্বরশীলতা এবং বলির নিমিত্ত অসংখ্য পশুপক্ষি-বধজনিত নিষ্ঠুরতা স্থান প্রাপ্ত হইয়াছে। দেবতার সংখ্যা ঋগ্বেদের তুলনায় কিঞ্চিৎ বাড়িয়াছে। ঋগ্বেদের অনেক দেবতা আবার রামায়ণের সময়ে নূতন নাম প্রাপ্ত হইয়াছেন, এবং তাহাদের অনেক নূতন রকমের বৃত্তি স্থাপিত হইয়াছে। দেবতার সংখ্যা বাড়িলেও ঋগ্বেদীয় ত্রয়স্ত্রিংশ সংখ্যা একেবারে পরিত্যক্ত হয় নাই, সময়ে সময়ে উহা লোকের মনে উদয় হইত। কিন্তু দেবতার সংখ্যা যতই বাড়ক, আধুনিক পুরাণ-তন্ত্রোক্ত মত অসংখ্য ছিল না। বাল্মীকির সাময়িক দেবতাদের প্রকৃতি যদিও ক্ষণে রোষযুক্ত ক্ষণে তোষ যুক্ত হইয়াছিল, তথাপি পরবর্তী সময়ের ন্যায় ভীষণস্বভাববিশিষ্ট হয় নাই। ঋগ্বেদীয় ইন্দ্রের প্রাধান্য প্রায় লোপ হইয়াছে, এখন বিষ্ণু এবং শিব এই দেবতাদ্বয়ের অত্যন্ত প্রভাব, এবং অনেকে এতদুভয়ের শিষ্য । নরদেবতার উপাসনাও আরম্ভ হইয়াছে, কিন্তু পরবত্তী সময়ের ন্যায় নরদেবের নিকট মনুষ্য-প্রকৃতি এখনও হেয়ত্বভাব প্রাপ্ত হয় নাই । অস্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্বন্ধে দেখা যায় যে, আর্য্যেরা নিয়মিত মত অগ্নি-সংস্কার করিতেন ; কিন্তু অনার্য্যের কোথাও কোথাও ভূগর্ভে নিহিত হইত, এবং তাহাই তাহীদের