পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় } ব্রাহ্মণবর্গ ba : পরমধৰ্ম্ম বলিয়া কথিত হইয়াছে। যাহারা পাপকার্য্যে রত, তাহারা যমের পুরে তৎফল ভোগ করিত ; , ঐ ভোগ কায়িক ভোগরূপে বর্ণিত। যাহারা যজ্ঞাদি দেবকাৰ্ঘ্যে পুণ্যসঞ্চয় করিত, তাহারা উৎকৃষ্ট স্বৰ্গলোক সকল তধিকার করিত । তথায় পুণ্যক্ষয় হইলেই পুনর্বার পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করিত এবং উৎকৃষ্ট জীব হইয়া জন্মিত। পাপকার্য্যে যমপুরে ফলভোগ করিয়া নিকৃষ্ট লোকে জন্ম গ্রহণ করিয়া উৰ্দ্ধে উঠিতে হইত –এরূপ বিশ্বাস ধৰ্ম্মশাস্ত্রসঙ্গত প্রচলিত ছিল । পুনঃ পুনঃ জন্ম মরণ অবশ্যই ক্লেশকর বিবেচনা ছিল। তাহা হইতে মুক্ত হইবার নিমিত্ত যোগ ভিন্ন উপায় ছিল না। এই যোগশাস্ত্র অদ্বৈতবাদিতা, ঈশ্বর সর্বময়, ঈশ্বর ব্যতীত আর সমস্তই মিথ্যা, জীবাত্মাও ঈশ্বর। যখন যোগে পরমাত্মায় এবং জীবাত্মায় একত্ব অবলোকিত হইবে, তখনই জীব মায়াপাশ ছিন্ন করিয়া মোক্ষলাভ করিবে এবং ব্রহ্মে লীন হইবে। আর পুনঃ পুনঃ জন্মগ্রহণ করিয়া পৃথিবীর সুখ দুঃখ ভোগ করিতে হইবে না । যোগাবলম্বনে সন্ন্যাসাশ্রম গ্রহণ বা আশ্রমে অবস্থান যোগীর স্বেচ্ছাধীন। ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করিয়াও, কৰ্ম্মের ফল-কামনা পরিত্যাগ করিয়া এবং সফলতা বা নিস্ফলতায় সমচিত্তপ্রসাদযুক্ত হইয়া গৃহে অবস্থান করিতে পারিতেন । বাল্মীকির সময়ে অধিকাংশ যোগী সেই পথ অবলম্বন করিতেন, সন্ন্যাস গ্রহণের দৃষ্টান্ত অতিবিরল —ইহা যোগধৰ্ম্ম । ব্রাহ্মণের আশ্রমী বা নিরাশ্রম হউন, জনপদের বহিভাগে বনভূমিতে থাকিতেন। তাশ্রমীরা পুত্ৰকলম্রাদি