পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰাশ্মীকি ও তৎসামরিক বৃত্তাস্ত । [ङ्खैश्च وا لالا মনুর, রামায়ণ মনুর পূর্বে বা পরে হউক (২), তাহার সহিত রামায়ণের সম্বন্ধ বহুলাংশে নিরূপিত হইতে পারে। সুতরাং একের বর্ণিত বিষয় অন্যের ভাব পরিস্ফুট করিতে অনেক সক্ষম। অতএব হইতে পারে যে রামায়ণের সময়েও সেই গ্রামপতি পুরপতি প্রভৃতি শাসনকর্তার অস্তিত্ব ছিল। যাহা হউক, এই গ্রামপতি ও পুরপতি প্রভৃতিগণ ফিউডাল সাময়িক স্থানবিশেষের বর্গোমাষ্টারের ন্যায়। বাহ্যিক আকার সম্বন্ধে এই পর্য্যন্ত । আভ্যন্তরিক ব্যাপারে যথেচ্ছচারের আধিক্য উভয় স্থানেই সমান ; বিশেষ এই যে, এক স্থানের যথেচ্ছাচার প্রায় সকল সময়েই সুবুদ্ধি এবং শিক্ষাপ্রসূত, অপর স্থানে নিরক্ষরচিত্ত হইতে উদ্ভূত। ফলপ্রসবিতার মধ্যে দেখা যায় যে, ফিউডাল প্রভুর পরস্পরের মধ্যে যেমন বিবাদ বিসম্বাদে প্রায় প্রত্যহ নবরক্তে স্নান করিতেন, আর্য্যেরা তৎপরিবর্তে প্রেম-সংমিলনে মনের মুখে কাল (২) রামায়ণের চতুৰ্থকাণ্ডে বালীর প্রতি রামের উক্তিতে কথিত হই য়াছে যে “শ্রীয়তে মমুনা গীতে শ্লোকে চারিত্রবৎসলে৷ ” ১৮ সর্গ। এ স্থলে দেখা যাইতেছে যে রামায়ণেই মনুর তৎপূৰ্ব্বাবির্ভাব প্রমাণিত হইতেছে। আরও এই প্রবন্ধে পূৰ্ব্বাপর বহু স্থলে দৃষ্ট হইবে যে মনুসংহিতার বিধির সহ রামায়ণোক্ত বহু বিষয়ের ঐক্য আছে। বর্তমান মনুসংহিত। ভৃগুঋষিদ্বারা কথিত, উহাই কি রামায়ণের পূর্ব হইতে প্রচলিত ছিল, না মনুর স্বয়মুক্ত কোন সংহিতা ছিল ? মনুসংহিতার অনেক স্থল দেখিলে মনুকে অনেক আধুনিক বলিয়া বোধ হয়, অথচ মনুর নাম সংস্কৃতের প্রাচীনতম গ্রন্থে দৃষ্ট হয়। আবার ইউরোপীয় পণ্ডিতদিগের মতে মনু একজন কল্পিত ব্যক্তি। ফলতঃ বর্তমান মনুসংহিতার জন্মের বহু পূৰ্ব্বে মমুর নামের উৎপত্তি । -