পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত। -<><<> প্রস্তাবনা ৷ “নারায়ণং নমস্কৃত্য নরঞ্চৈব নরোত্তমম্। দেবীং সরস্বতীঞ্চৈব ততো জয়মুদীরয়েৎ ॥” ভারত যাহার লীলাভূমি, ভারতী যাহার জননী, সংস্কৃত যাহার বাক্যালাপ, মনু যাহার পিতৃপুরুষ, বেদবিদ্যা যাহার চিত্তপ্রদূত, সেই জগদগুরু আর্য্যজাতির জীবনী আজি কি না কীৰ্ত্তিবিলোপী কাল-কবলে নিহিত। বিধাতঃ ! যে ভারত তোমার মানস-কন্যা, যে ভারত একদা মোহিনী মূৰ্ত্তিতে জগৎ মোহিত করিয়াছে, আজি তোমার সেই ভারত পথের ভিখারিণী ! যে আর্য্য-নাম-প্রাপ্ত্যাশয়ে সভ্যতম জগৎ আজি ক্ষিপ্তপ্রায়, সেই আর্য্য-নামে ভারত-সন্তানের নিৰ্ব্বিবাদে অধিকারী হইয়াও তাহার মৰ্ম্মজ্ঞ হইলেন না, কি আক্ষেপ !— সেই নামে ঔদাস্ত ! - ইতিহাস কাহাকে বলে ? বিশেষ রাজবংশ বা ঘটনাবলীর নামমালা বা যুদ্ধকৌশলবর্ণনমাত্র, কতকগুলি অব্যবসায়ীর হস্তে ইতিহাস বলিয়া গৃহীত হইয়াছে। ঐ সকল ইতিহাসকর্তারা এমনই ইতিহাসের মৰ্ম্মজ্ঞ যে, যে খানে যুদ্ধা দির ব্যাপার-বাহুল্য সেই খানেই তাহদের বাগ্‌জাল-বিস্তার, যেখানে শান্তির সম্ভব সেই খানেই “বিশেষ কোন ঘটনা নাই” বলিয়া তাহদের নিবৃত্তি। বস্তুতঃ উহা প্রকৃত ইতিহাস-পদে বাচ্য হইতে পারে না, উছ। ইতিহাসের সংযোগস্থলমাত্র।