পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> বাল্মীকি ও তৎসমষিক বৃত্তান্ত । অন্যান্য বিষয়ের সহিত সংযোগবিহীনতা সত্ত্বেও উহ। প্রকৃত ইতিহাস-পদে যদি বাচ্য হয়, তবে উহার উপকারিতা অন্বেষণ আবশ্যক ; এরূপ অন্বেষণের লব্ধ ফল এই দেখিতে পাওয়া যায় যে, ওরূপ ইতিহাসের এক অংশ ভাটের, অপরাংশ কথঞ্চিৎ সৈনিকের উপকারে আইসে, কিন্তু সাধারণ সমাজ তাহাতে অল্পই উপকৃত হয়। কিন্তু ইতিহাসের ত এরূপ ধৰ্ম্ম নহে ; উহা সমাজের পরিচালক বলিয়া আমাদের যে সংস্কার আছে তাহা কি মিথ্যা ? কেনই বা মিথ্যা হইবে ? যদি মানবজীবন বা তৎসমষ্টির আবির্ভাব, উন্নতি ও অবনতি এবং তাহার পুনরুদয় ও তদানুষঙ্গিক বৃত্তি-সমুদয়ের যথার্থ প্রতিকৃতি যদ্বারা প্রদর্শিত হয়, তাহাকে ইতিহাস পদে বাচ্য করা যায়, তবে আমাদের সংস্কার নির্মূল ন হইয় আরও দৃঢ় হইবার কথা। আমাদিগের বিবেচনায় উহাই প্রকৃত ইতিহাস, এবং রাজবংশ বা ঘটনাবলীর নামমালা বা যুদ্ধকৌশলবর্ণন উহার সংযোগস্থলমাত্র। যথায় এরূপ কোন ইতিহাসের অভাব, তথায় যত কিছু সেই অভাব-বিমোচক বলিয়া পরিচিত হয়, তাহার মধ্যে স্বভাবতত্ত্ববিদ সুচতুর লেখকের লেখনীনিঃস্থত কাব্য বা উপন্যাস আদরণীয় ; ব্যবহারতত্ত্ব গ্রন্থও তদ্রুপ। যে ভারতের ইতিবৃত্তের নিমিত্ত আমরা নিরস্তর আক্ষেপযুক্ত, এবং বিদেশীয়দিগের নিকট নিন্দনীয় হই, এতন্নিয়মাবলম্বনে তাহা হইতে প্রায় মুক্ত হইবার সম্ভাবনা । সময় কখন সৌভাগ্যযুক্ত হইলে, তন্নিয়ম যথাসাধ্য অবলম্বিত হইবে । এ ক্ষণে বর্তমান উদ্দেশ্য অনুসরণ করা যাউক । রামায়ণ