পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায়।] ক্ষত্ৰিয়বর্গ। . ১৩৯ ণাম কিরূপ দাড়ায়, তাহ সহজে অনুমান করা যাইতে পারে। উহা কিরূপ অঙ্কুরিত, পুষ্পিত ও ফলিত হইয়াছে, তাহা বর্তমান সময়ের সহিত সম্বন্ধ স্থাপন করিয়া পূৰ্ব্বাপর আলোচনা করিলে দৃষ্ট হইবে। ৩ । রাজন্যবর্গ। দেশাধিপতিগণ দেববংশজ, দেবাবতার বা দেবদত্তক্ষমতাযুক্ত এবং তাহারাই নিয়ন্তা ও র্তাহাদের বাক্যই নিয়ম, এই বিশ্বাস ও বিষয় সম্বন্ধে খৃষ্টীয় শকের মধ্যমকালীয় ইউরোপ খণ্ডের ইতিহাস পর্য্যালোচনা করিলে, দেখা যাইবে যে পূর্বপর উহা প্রজাসাধারণের কিরূপ হৃদয়ঙ্গম হইয়াছিল এবং রাজারা উহা লোকহাদয়ে প্রবেশ করাইবার জন্য কিরূপ চেষ্টা পাইয়াছিলেন। ইউরোপীয় আধুনিক ঐতিহাসিক সময়ের প্রারম্ভে দেখা যায় যে, জৰ্ম্মনির জঙ্গলে কতকগুলি বর্বর জাতি বাস করিতেছে। তাহারা অস্থির, দৃঢ়কায়, সতত দ্বন্দ্বপ্রিয় এবং দসু্যবৃদ্ভি-লালসায় একজনের আনুগত্য স্বীকার করিতেছে । যাহার অনুগত হইতেছে, তিনি প্রথমতঃ আধিপত্য হেতু, দ্বিতীয়তঃ ওডিন (বুধ) বা তীস্কে ইত্যাদি দেববংশ-জাতত্ব হেতু, তাহাদিগের নিকট যথাসম্ভব ভক্তি-উপহার গ্রহণ করিতেছেন। অতএব জৰ্ম্মনির জঙ্গলেই রাজদেবত্বভাবের সূত্রপাত হইয়াছিল, কিন্তু অতি সঙ্কুচিত ভাবে । পরে ইহারা যখন দস্তু্যবৃত্তির অনুসরণক্রমে ধ্বংসপ্রায় রোমক ভূমে অবতীর্ণ হইল এবং খৃষ্টধৰ্ম্ম গ্রহণপূর্বক আধিপত্য বিস্তার করিতে লাগিল, তখন খৃষ্টীয় ধৰ্ম্ম