পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] ক্ষত্রিয়বর্গ। $85 গুণভাগ আলোচনা করিয়া কথিত রামগুণের পাশ্বে স্থাপিত করিলে, প্রকৃতভাব উপলব্ধি করা সহজ হইয়া আইসে । দ্বিতীয় অধ্যায়ে কথিত হইয়াছে যে, অনাৰ্য্যজাতিদিগের ভাষা সংস্কৃত হইতে স্বতন্ত্র, সুতরাং শিক্ষা ভিন্ন সংস্কৃত ভাষায় তাহাদের প্রবেশাধিকার নাই, এবং বেদভাষা এ সময়ে আর্য্যদিগের নিকটে বহু পরিমাণে দুরূহ হইয়া আসিয়াছিল, এনিমিত্ত বেদাঙ্গ অধ্যয়ন ব্যতীত কাহারই বেদবিদ্যায় সম্যকৃ অধিকার জন্মিত না । এমন স্থলে স্থানান্তরে দেখা যায় “যদি বাচং বদিষ্যামি দ্বিজাতিরিব সংস্কৃতাম্। সেয়মালক্ষ্য রূপঞ্চ জানকী ভাষিতঞ্চ মে ॥ রাবণং মন্যমান। মাং পুনস্ত্রাসং গমিষ্যতি ” ৫ম কাণ্ড, ২৯ সর্গ। হনুমান অশোকবনে জানকীকে দেখিতে পাইয়া কিরূপে র্তাহার সম্ভাষ করিবেন, তাহা মনে মনে চিন্তা করিতেছেন যে, যদি আমি দ্বিজাতিগণের ন্যায় অর্থাৎ আর্য্যগণের ন্যায় ংস্কৃত বাক্য কহি, তাছা হইলে আমার (অনার্য্যজাতিত্ব হেতু) এইরূপ রূপে এরূপ উচ্চ দ্বিজাতি-ভাষার সম্ভব দেখিয়া, জানকী আমাকে রাবণ মনে করিয়া ত্ৰাসযুক্ত হইতে পারেন। এ খানে রাবণের পাণ্ডিত্যের উপর জানকীর দৃঢ় বিশ্বাস সূচিত হইল, এবং অন্যান্য অনাৰ্য্যদিগের মধ্যে রাবণই যে কেবল আর্য্যবিদ্যায় পারগ, সীতা তাহ রাবণের সহ পূৰ্ব্বে দর্শিত কারণ হেতু জানিতেন । পুনশ্চ পরিব্রাজকরূপী রাবণ সীতা-হরণার্থে কুটার-দ্বারে উপনীত হইয়া “দৃষ্ট কমিশরবিদ্ধে ব্ৰহ্মঘোষমুদীরয়ন।” مبے ৩য় কা গু, ৪ ৬ সগ । “ব্রহ্মঘোষং ব্রাহ্মণত্বপ্রত্যভিজ্ঞানার বেদদোষ দীবখন কুৰ্ব্বন ’’-র মানুজ ।