পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায়।] ক্ষত্ৰিয়বর্গ। ᎼᏬ Ꮔ কৃষ্ণবর্ণ পর্বতাকার মুদৃশ্য ও সুলক্ষণাক্রান্ত হস্তী কেন তোমার অগ্ৰে নাই ! পরিচারকেরা সুবর্ণনিৰ্ম্মিত ভদ্রাসন স্কন্ধে লইয়া কৈ তোমার অগ্রে আগমন করিল!” (৩২) রাজাদিগের প্রাতঃকালে শয্যা ত্যাগ করিয়া উঠিবার পূর্বে কিরূপ আড়ম্বর হইত, তাহা উক্তপণ্ডিতকৃত অনুবাদ হইতে নিম্নোদ্ধত অংশ দ্বারা প্রদর্শিত হইতেছে। ২৬৫– “রাত্রি প্রভাত হইয়া গেল। প্রাতঃকালে সুশিক্ষিত সূত, কুলপরিচয়দক্ষ মাগধ, তন্ত্রীনাদনির্ণায়ক গায়ক ও স্তুতিপাঠকগণ রাজভবনে আগমন করিল এবং স্ব স্ব প্রণালী অনুসারে উচ্চৈঃস্বরে রাজা দশরথকে আশীৰ্ব্বাদ ও স্তুতিবাদ করিয়া প্রাসাদ প্রতিধ্বনিত করিতে লাগিল । পাণিবাদকের ভূতপূৰ্ব্ব ভূপতিগণের অদ্ভূত কাৰ্য্য সকল উল্লেখ করিয়া করতালি-প্রদানে প্রবৃত্ত হইল। সেই করতালি-শব্দে বৃক্ষশাখায় ও পিঞ্জরে যে সকল বিহঙ্গ বাস করিতেছিল, (৩২) অযোধ্যাকাণ্ড ব্যতীত, রামায়ণের যুদ্ধকাণ্ডে, রাবণ-বিনাশাস্তে অযোধ্যায় আগমন করিয়া যখন রাজপদে অভিষিক্ত হয়েন, তৎকালীন রামের অভিষেকক্রিয়া আর একবার সম্পূর্ণরূপে বিবৃত হইয়াছে। উপরে যাহা উদ্ধত করা গেল, তাহা হইতে তাহার পৃথকৃত অতি অন্ন ; পরস্তু তথায়, রাক্ষস বানর আদি একত্র করিয়া, ঘোর ঘটা করিতে গিয়া অযথা বাহুল্য প্রাপ্ত হইয়াছে। ফলতঃ এত বিস্তৃতি লাভ করিয়াছে যে, তাহ বাল্মীকির সাময়িক অভিষেক-পদ্ধতির প্রকৃত প্রতিকৃতি প্রদর্শনার্থে উপযুক্ত নহে। তৎপক্ষে অযোধ্যাকাও হইতে উপরে উদ্ধত অংশ অধিক সঙ্গত বোধ হও য়ায়, তাহাই গৃহীত, এবং যুদ্ধকাণ্ডস্থ বর্ণনা এ প্রস্তাবে পরিত্যক্ত হইয়াছে। অধ্যাপক গোল্ড়ষ্টকর অনুমান করেন, রামের এ অভিষেকক্রিয়া ঐতরেয় ব্রাহ্মণোক্ত পদ্ধতি অনুসারে হইয়াছে, যেহেতু বসুগণকর্তৃক ইন্দ্র যদ্রপ অভিষিক্ত হইয়াছিলেন, রামও তদ্রুপ অভিষিক্ত হইলেন বলিয়া রামায়ণে কথিত হইয়াছে। ঐতরেয় ব্রাহ্মণে ইন্দ্রের অভিষেককার্য্যই বর্ণিত হইয়াছে ।