পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধ্যায়। ক্ষত্রিয়স্বৰ্গ । - ン bs করিয়াছেন। প্রাচীনগণ ভক্তিভাবে সেই সকল শুনিয়া অখণ্ডনীয় সত্য জ্ঞানে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছিলেন। আমরাও সেই সকল শুনিতেছি, কিন্তু পূৰ্ব্বকালের বিশ্বাস ভাঙ্গিয় গিয়াছে ; এখন তুমি বিশ্বাস কর না, আমি করি, এইরূপ । তোমার প্রমাণ, খৃঃ পূঃ ৪০০৪ সঙ্গে মিশ খায় না বা তদ্রুপ সার্বানু যুক্তি, আমারও প্রমাণ খৃঃ পূঃ ৪০০৪ মানি না বা তদ্রুপ ; সুতরাং বিশ্বাস করা না করার প্রমাণ উভয় পক্ষেই দৃঢ়তায় সমান । এ বিবাদস্থলে কাজেই স্বীকার করিতে হয় যে, প্রাচীন ভারতের গৌরব স্থলে আলেকজণ্ডার, সিজর, হানিবল বা নেপোলিয়নের ন্যায় যোদ্ধা ; গ্রীসীয় কন্দ্র বা হেলবিটায় উইঙ্কিলরিডের ন্যায় স্বদেশহিতৈষিতায় আত্ম বা আত্মতুল্য-প্রাণঘাতী ; অথবা মারাথন বা থার্মাপলির ন্যায় তীর্থক্ষেত্র, ঐতিহাসিক-সন্দেহবিহীন হইয়া এবং সৰ্ব্ববাদিসম্মত ভাবে উল্লেখ করিবার নাই। প্রাচীন ভারতের ঐতিহাসিক বিষয়ের অধিকাংশই কালগর্ভে নিহিত হইয়াছে। বর্ণজ্ঞানশূন্য নরমাংসভোজী আজুতেক জাতিও ইতিবৃত্তরক্ষণের মৰ্ম্ম বুঝিয়াছিল, কিন্তু কি দুর্ভাগ্য যে, আর্য্যসন্তানেরা উচ্চবিদ্যাবিশারদ হইয়াও তাহার মৰ্ম্মাবধারণে সমর্থ হয়েন নাই ! যাহা হউক, সে সকল তৎকারণৰশতঃ যদিই কালগর্ভে নিহিত হয় এবং নামবিশেষের উল্লেখ নাই পাওয়া যায়, তথাপি যদি সে সময়ের লোকচরিত্র এবং সমাজচিত্র জ্ঞাত হইতে পারা যায়, তাহা হইলে সেই সেই লুপ্ত বিষয়ের আভাস উপলব্ধ করিতে অল্পক্ষণই লাগিয়৷ ૨૨