পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अक्षाग्न) ক্ষত্রিয়বর্গ। ১৭৯ দলের প্রধান চেষ্টা সৰ্ব্বপ্রথমে ব্যুহুভেদ করা। যুদ্ধারম্ভেই যে পক্ষের বৃহভেদ হইত, সে যুদ্ধে তাঙ্কর অাশা বড় অধিক থাকিত না । সেনাপতিরা বিবিধ মণি রত্নাদি বীরসাজসহ ধারণ করিয়া ধ্বজপতাকাশোভিতর থারোহণে সৰ্ব্বদাই থাকিতেন, এবং তথা হইতে ধনুৰ্ব্বাণাদির দ্বারা অপর পক্ষের সেনাপতির সহ যুদ্ধ করিতেন। উভয় সেনাপতি কখন কখন ভূতলে নামিয়া মল্লযুদ্ধেও প্রবৃত্ত হইতেন। ইহাদের পাশ্বে আরও রথ থাকিত, পূর্ব রথ ভগ্ন হইলে অপর রথে আরোহণ করিতেন ; এবং সেনাপতি রণক্লান্ত বা মূচ্ছিত হইলে, সারথি আপন বিবেচনা অনুসারে পলায়ন দ্বারা রথীর প্রাণ রক্ষা করিতেন। এই দুই কারণেই অনেক সময় রামের সহ যুদ্ধে রাবণের প্রাণ বাচিয়াছিল, এবং শেষোক্ত কারণ হেতু সারথি গৰ্ব্বিত রাবণের নিকট অনেক বার তিরস্কারও সছ করিয়াছিল। রামায়ণের সকল যুদ্ধের বর্ণনা দৃষ্টে উপরে ঐ সারাংশ সম্ভব বোধে সঙ্কলিত হইল, নতুবা রামায়ণের অবিকল বর্ণিত যুদ্ধ অদ্ভুত জিনিস। উহাতে বৃক্ষ পৰ্ব্বত পর্যন্ত অস্ত্রমধ্যে পরিগণিত হইয়াছে। একজন লক্ষ জনের লক্ষশরনিবারক, লক্ষজনের একজন বিনাশক, কোথাও বা একপক্ষে অসংখ্য সৈন্য, অপর পক্ষে একাকী একটী বীর। এ সকল লোকে অসম্ভব, কবিকল্পনায়ও তাহাই, কেবল বাল্মীকির ন্যায় তেজস্বী কবিকল্পনাতেই সম্ভব। বাল্মীকি ঋষি, যুদ্ধ চক্ষে কখন দেখিয়াছিলেন কি না তাহা তিনিই জানিতেন, বোধ হয় জনশ্রুতি, অথবা কল্পনাই তাহার যুদ্ধবর্ণনের মূলমন্ত্র।