পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায়] ক্ষত্রিয়বর্গ। ソb ○ এ কথাও শুনিব না। তেজ দ্বারা বাসনার কতক পরিমাণ হয়, কিন্তু তেজ আমরা কাহাদিগেতে দেখিতে পাই ? এক জাতীয় স্বাধীনতায়, অপর চিত্তের উৎকর্ষে। কুকি সাঁওতালের যে তেজ আছে, দুর্ভাগ্য বঙ্গসন্তানের তাহা নাই। আবার এক্ষণকার ক্ষীণজীবী বঙ্গসন্তানের যে তেজ লক্ষিত হইতেছে, ‘ডাইল-রুটি’-ভোজী সবলকায় হিন্দুস্থানীতে তাহা লক্ষিত হয় না । পুনশ্চ শুনিতে পাই আমাদিগের স্বৰ্গীয় বংশরক্ষকেরা তাল মারিয়া বৃহৎ গাছকেও দোদুল্যমান করিতেন, কিন্তু পেয়াদ দেখিলেই গৃহিণীর আঁচল ধরিয়া পিছনে লুকাইতেন ; তেজ বিষয়ে তাহাদের এবং তাহদের নিজাব উত্তর পুরুষমধ্যে কত অন্তরতা । ফলতঃ বাসনার মূল পূর্বেই কথিত হইয়াছে যে, অনুন্নত সমাজে পূর্ব হইতে প্রচলিত স্বাধীনতার ভাব, এবং উন্নত সমাজে মানসিক উৎকর্ষে অভাব বোধ । কিন্তু কৌশলের মূল সর্বসময়েই মানসিক উৎকর্ষ। এই উৎকর্ষ যখন যেরূপ পুষ্টত ধারণ করে, তখন কৌশলও সেই অনুসারে অঙ্গসম্পন্ন হয়। যেখানে বাসনা, কৌশল এবং দৈহিক বলের একত্র সমাবেশ, সেখানকার মঙ্গলের আর কথা কি আছে । যেখানে তদভাবে কেবল কৌশল ও বাসন প্রবলা, সেখানেও জয়শ্ৰী বিচরণ করিয়া থাকেন। কিন্তু কেবল দৈহিক বল, বা দৈহিক বল ও বাসন, অথবা দৈহিক বল, বাসনা ও অধম কৌশল এ তিন একত্র হইলেও, প্রবলা বাসনাও উন্নত কৌশলের ফলের নিকট পরাজিত হইয়া থাকে । ইহার দৃষ্টান্তস্বরূপ দেখ। যখন সপ্ত ঋষি কেবল কয়েকজন মাত্র স্বদলস্থ লোক লইয়া ভারতে অবতীর্ণ হয়েন, তখন