পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংক্তিক্ষপ্ত সার । রামায়ণপ্রণেতার সাময়িক রাজ্যসংস্থান-প্রণালী অবলোকন করিলে দেখা যাইবে যে, ভারতে বহুতর ক্ষুদ্র রাজা প্রদেশভেদে স্বস্ব-প্রধান হইয়া আপন আপন রাজ্যমধ্যে যদৃচ্ছ রাজ্যশাসন করিতেন। কিন্তু তাহ বলিয়া প্রতিবেশী রাজাদিগের সঙ্গে একেবারে ছিন্নসম্বন্ধ ছিলেন না । সর্বত্র ব্রাহ্মণে ভক্তি থাকায়, ও ব্রাহ্মণে প্রায় নিয়মদাতা হওয়ায়, বৈবাহিক সূত্রাদিতে পরস্পর পরস্পরের সহিত সম্বন্ধে আবদ্ধ থাকিতেন, এবং উৎসবাদিতে একত্র সমবেত হইয়া সুখসম্মিলনে আমোদ প্রমোদ করিতে বিরত হইতেন না। এই প্রত্যেক রাজাদিগের অধীনে অনেকানেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অধীশ্বর থাকিতেন । র্তাহারা আপনাপন স্বামীকে যথোপযুক্ত কর প্রদানে স্বীয় নির্দিষ্ট সীমায় যদৃচ্ছ ব্যবহার করিতেন। নানা কারণে অনুমান হয় যে, প্রত্যেক ভিন্ন ভিন্ন নগর, গ্রাম বা তৎসমষ্টিবিশেষ শাসনের নিমিত্ত গ্রামপতি পুরপতি প্রভৃতি এক এক জন শাসনকর্তা নিযুক্ত হইতেন। অধীনস্থ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অধীশ্বরদের কোন যুদ্ধকালে আপন আপন অধীনস্থ সৈন্য লইয়া রাজাকে সাহায্য করিতে হইত। সেনাপতি ব্যতীত সৈন্যগণ প্রায়ই অশিক্ষিত থাকিত। সুতরাং এক এক সেনাপতির বাহুবিক্রমের উপর যুদ্ধফল অনেক সময়ে নির্ভর করিত। এ সময়ে যুদ্ধে ধনুৰ্ব্বাণ খড়গ আদি অস্ত্ৰ শস্ত্রই ব্যবহার অধিক হইত। কামান গোলাগুলির চিহ্ন পাওয়া অবশুই দুর্ঘট । সৈন্য-চলাচল সময়ে শিবিরাদি প্রায়