পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$న ৰাক্ষ্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । চতুর্থ থাকে । আবার যখন কোন দাসকে কোন অৰ্দ্ধসভ্য দাসত্ব হইতে মুক্ত করিয়া দিতেন, তখন সে সমাজের অন্যান্য সকলের সঙ্গে কার্য্যে না হউক, কথায় প্রায় সমকক্ষ বলিয়া পরিচিত হইত, এ পরিচয়প্রদান শেষ মুক্তির কার্য্য এবং কদাচিৎ ঘটিত। মুক্তির আবার ভিন্ন ভিন্ন পৰ্য্যায় ছিল, কেহ পশুত্ব হইতে কিঞ্চিৎ উচ্চে উন্নত হইত, কেহ বা তছুচ্চে পরাধীনবৃত্তিভোগমাত্র হইত, কেহ বা তদুচ্চে কতকগুলি নিয়মের বশবৰ্ত্তিতায় স্বাধীনবৃত্তিভোগীও হইতে পারিত, ইত্যাদি। এই শেষোক্ত প্রকারের পর্য্যায় অনুসারেও মুক্তিদান সচরাচর ঘটিত না, দাসদিগের রক্তদর্শনই প্রায় নিত্যক্রিয়া ছিল । এখানে কাজেই মনুষ্যত্বের চিহ্নমাত্রও লক্ষিত হয় না। এখন ভারতের দিকে দেখা যাউক। ভারত সম্বন্ধে যদিও এই পৰ্য্যন্ত বলিলেই পর্য্যাপ্ত হইতে পারে যে, যে ইয়ুরোপ এখন সভ্যতায় অবনীমধ্যে প্রধান বলিয়া পরিচিত, তাহারই এক বৃহৎ এবং সভ্যতম দেশের অধীশ্বর কয়েক বৎসর হইল স্বীয় রাজ্য হইতে দাস-ব্যবসায় উঠাইয়া দিয়াছেন বলিয়া, উহাই তাহার প্রধান সুখ্যাতি-স্বরূপ হইয়াছে, এবং সে সুখ্যাতি ইয়ুরোপের দিগিদগন্তে প্রতিধ্বনিত, ও সুখ্যাতির পাত্র যিনি তিনি সে সুখ্যাতিতে আনন্দে গদগদভাব প্রাপ্ত হইয়াছেন। কিন্তু ভারতে এমন দিন কখন হয় নাই যে দিন কোন ভারতেশ্বর স্বপ্নেও সে সুখ্যাতির কারণের অস্তিত্ব অবলোকন করিয়াছিলেন, এবং সেরূপ সুখ্যাতির সম্ভবতা-দর্শনে সমর্থ হইয়াছিলেন । তথাপি আমরা কিঞ্চিৎ বলিব । বর্বরই হউক, যবনই হউক,