পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাৰ । निद्गुठेदर्श । ১৯৯ ভারতে কখন কাহাকে দাসবৃত্তি করিতে হয় নাই । সেই প্রাচীনতম সময়েও, যখন আর্য্যসন্তানগণ পাশব-বল-প্রকাশের দ্বারা মার মার কাট কাট শব্দে হিমাদ্রি লঙ্ঘন করিয়া ভারতভূমিতে অবতরণ, রাজ্য-সংস্থাপন এবং শত্রুশির দ্বিধা-করণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়াছিলেন, এবং যখন পালে পালে অরণ্যবাসী দাসবগ নিপাত হইতেছিল, তখনও যে কোন দাসসন্তান বাহুবলক্ষয়ে বা স্বেচ্ছায় বশ্যত স্বীকারে আর্য্যগণের করগত হইত, তাহারাও স্বাধীনভাবে সচ্ছন্দমনে সৰ্ব্বদ বিচরণ করিতে পাইত, এমন কি সমাজের মধ্যে তাহারা নিতান্ত অগণনীয় লোক ছিল না । পাশ্চাত্যভূমিতে দাসদিগের শেষযুক্তি প্রভুর ইচ্ছার উপর নির্ভর করিত ; ভারতে (মুক্তিকথা ব্যবহার অনাবশ্যক) নিকৃষ্টবর্গের সামাজিক উন্নতপদে অধিরোহণ গুণবত্তার উপর নির্ভর করিত । পাশ্চাত্যভূমির মুক্ত ব্যক্তির কথায় মাত্র উন্নতদিগের সমকক্ষ বলিয়া পরিচিত, ভারতের নিম্নশ্রেণীস্থ কেহ একবার গুণবত্ত দ্বারা উৰ্দ্ধে উঠিলে, সে সেই উৰ্দ্ধস্থ জাতির সহ সকল বিষয়ে সমকক্ষ বলিয়া পরিচিত হইত। অসভ্য ও পরাজিতকে কে সহসা সমকক্ষে স্থাপন করিবে, কোন মহাপুরুষ এমন আছেন? বস্তুতঃ যিনি তদ্রুপ করেন, তিনি মহাপুরুষ-পদে বাচ্য নহেন। কিন্তু অসভ্যকে আগে নিম্নে রাখিয়া পরে যিনি গুণদর্শনে তাহার উন্নতি করেন, র্তাহারই প্রকৃত মনুষ্যত্বের কাজ। প্রাচীনকালে ভারতে এই মনুষ্যত্বের বহুবিস্তার দেখাযায়, কিন্তু ইহা বৈদিক সময়ে মাত্র, সাধারণ সময় সহ তুলনায় বৈদিক সময় অতি অল্প,