পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিকৃষ্টবর্গ। እRማ অধিবাসীদিগের মধ্যেও এ প্রথা, শাখাপ্রশাখা-বিশিষ্ট মহাবৃক্ষাকারে না হউক, সামান্যভাবে বর্তমাম ছিল। যত জাতিতে জাতিভেদ-প্রথা লক্ষিত হয়, তাহার মধ্যে ভারতীয় জাতিবন্ধন অতি চমৎকার এবং আর সকল দেশ হইতে স্বতন্ত্র বলিয়া বোধ হয়। এ চমৎকারিত্ব, এ স্বাতন্ত্র্যের কারণ একমাত্র সম্প্রদায়-পরম্পরায় ছেদ-সম্বন্ধত । যাহা হউক, এ বিষয় পরে কথিত হইতেছে। বহু জনের এ অনুমান যে, ভারতীয় জাতিপ্রথা বস্তুতই অন্যান্য সকল দেশ হইতে সম্পূর্ণরূপ পৃথক প্রকৃতির, এবং উহা আৰ্য্যগণের ভারতভূমিতে অবতারণার বহুপরে স্থাপিত হইয়াছে। তাহাদিগের এরূপ অনুমান কতদূর সমূলক বা কতদূর অমূলক, তাহ আমি বলিতে প্রস্তুত নহি । প্রমাণাদি দৃষ্টে আমার যাহা বিবেচনাসিদ্ধ, তাহাই বলিতে প্রস্তুত আছি। প্রথমতঃ, মানব-সমাজের উন্নতি ও অবনতি পৰ্য্যালোচনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, মানবপ্রকৃতিস্থ মানবগণের ভিন্ন ভিন্ন অভাব বিমোচনার্থে ভিন্ন ভিন্ন হস্তের যে নিয়োগ, তাহা সেই সেই ভিন্ন ভিন্ন হস্তের প্রায় নিজস্ববৃত্তি-স্বরূপ হইয়া দাঁড়ায়, এবং সাধারণ হইতে পৃথক ভাবে জ্ঞাপিত হইবার নিমিত্ত অনুরূপ নাম প্রাপ্ত হইয়া থাকে। যেমন ‘বিশ্ব’ ধাতু হইতে বৈশ্ব শব্দের উদ্ভব। এতদ্ব্যতীত, ইহাও একরূপ স্বভাবসিদ্ধ না হউক, প্রায় তদনুরূপ যে, উত্তর পুরুষে পূৰ্ব্বপুরুষের বৃত্তির অনুসরণ করিয়া থাকে। যে খানে সেরূপ, সে খানে বৈশ্বের ন্যায় নামবিশেষে বংশ বা শ্রেণীর পুরুষপরম্পরায় আখ্যাত