পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত। [চতুর্থ "לא צ হওয়ায়, সেই বংশ বা শ্রেণীর সেই নাম ক্রমে বদ্ধমূল হইয়া আইসে। দ্বিতীয়তঃ, আধুনিক দেশ প্রদেশাদির বিবরণ পরিত্যাগ করিয়া, প্রাচীনকালীয় সমাজের বিষয় আলোচনা করিলে দেখা যায় যে, “ভিন্ন ভিন্ন সমাজে জাতিবিচার অতি পুরাতন কাল হইতে প্রচলিত। মিসর, আসীরিয়া, প্রাচীন পারস্য এবং আসিয়া ভূভাগের প্রায় সর্বত্রই ইহা ঐতিহাসিক সময় প্রবর্তনার বহুপূর্ব হইতে প্রচলিত । মিসরদেশে ফারাওবংশের সময় পৰ্য্যন্ত নির্ণয় করিতে পারা যায় যে, তথায় যতরূপ জাতি ছিল, তাহার মধ্যে পুরোহিত, সৈনিক, কৃষক বারিবাহক এবং রাখাল প্রধান। পারস্যভূমিতে জাতিবিচার পারসীক ধৰ্ম্মের আদি প্রবর্তক জরথুস্ত্রেরও বহুপূর্ব হইতে প্রচলিত। তথায় সমাজ চারি জাতিতে বিভক্ত ছিল, পুরোহিত, সৈনিক, কৃষক এবং বণিক।”(১) এই সকল জাতি (8) Beeton's Dictionary of Universal information, p. 429. তথায় আরও লিখিত আছে যে ইহা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব যে জাতিবিভাগ বংশবিভেদে উৎপন্ন, এবং মূলে উহার ভিন্ন কুল ছিল। এ কথার আমরা কতদূর প্রতিপোষক, তাহা মূল প্রস্তাবে জ্ঞাপিত হইবে। প্রাচীন giff5 TTUR Grote's History of Greece, Vol. II, pp. 474 to 491 দেখিলে অনেক প্রাচীন জাতির বিষয় অবগত হওয়া যায়। ঐ সকল জাতির মধ্যে জাতিলিচাল পথাব সম্প্রদায়বিশেষের নামের ব্যুৎপত্তি অবলম্বন করিলেই, একমাত্র বৃত্তিই যে তথাবিধ নাম প্রাপ্ত হওয়ার কারণ তাহা প্রতীত হইবে। অনেক বড় বড় ইয়ুরোপীয় পণ্ডিতগণের সিদ্ধান্তে ভারতের জাতিবিচার দৈহিক বর্ণানুসারে হইয়াছে, এ সিদ্ধান্তের অবলম্বন এই যে জাতিশব্দের পরিবর্তে ‘বর্ণ শব্দের কখন কখন ব্যবহার হইয়াছে ; বর্ণশব্দে রঙ বটে, কিন্তু আর কোন অর্থ কি ছাই হইতে পারে না ?