পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ।] নিকৃষ্টবর্গ। 次o> রীতি-নীতি-বিষয়ক-পরিবর্তন-বশবৰ্ত্তী হওয়ায়, সেই সকল প্রথা পরস্পরের মধ্যে ক্রমে দূর সম্বন্ধ হইতে লাগিল। এখন বোধ হয় যে, সেই সকল বহু প্রথার মধ্যে জাতিপ্রথা ভারতে নীত হইয়া সেই নিয়ম-বশ্যতায়, সম্প্রদায়-পরম্পরার মধ্যে ছেদসম্বন্ধরূপ নবভূষায় ভূষিত হইয়াছিল। জাতিবিচার যেরূপে উদ্ভূত হইতে পারে, তাহ পূর্বে যেমন বলা গিয়াছে, সেইরূপ, মানবসমাজে সভ্যতা-সূর্ঘ্যের প্রথমোদয়েই সম্ভব । মসুর পিকেটট দ্বারা সুন্দর রূপে প্রদর্শিত হইয়াছে যে, আর্য্যগণ ভারতভূমিতে অবতারণার পূর্বে সভ্যতাপদবীতে পদার্পণ করিতে শিখিয়াছিলেন, সুতরাং তখন এরূপ ব্যবসায় অনুসারে যে ভারতে অবতারণার পূর্বেই আর্য্যেরা সম্প্রদায়-বিভক্ত হইয়াছিলেন, তাহাতে বিচিত্র কি ? এখন দেখা কর্তব্য যে, সর্বপ্রথমে আর্য্যজাতি কয়রূপ ভিন্ন ভিন্ন ভাগে বিভক্ত হইয়াছিলেন। বন্যভাব পরিত্যাগের পরে জ্ঞানের প্রথমোদয়ে দৈবপ্রভাবের অস্তিত্ব মন অধিকার করে এবং আত্মরক্ষার্থে যে স্বাধীন সাহস তাহার হ্রাস হয়। সুতরাং দেবতার রোষ তোষ নিরীক্ষণ করা, এবং তাহার যথাযথ নিরীকরণ, শান্তি, স্বস্ত্যয়ন আদি করা, একরূপ বৃত্তি নিরূপিত হওয়ার সম্ভব। তদ্ব্যতীত স্বায়ত্ত পার্থিব অন্যান্য আপদ বিপদ হইতে আত্মরক্ষা করা আর এক বৃত্তির আবশ্যক । এতদ্ব্যতীত আহার-সঞ্চয়, কৃষিকাৰ্য্য, বাণিজ্য বা পশুপালনের নিমিত্তরূপ অার এক বৃত্তি আছে। এমন সময়ে বিলাসের আধিক্য কি নামমাত্রই নাই, সুতরাং দাসবৃত্তির তত অবিশ্বক হয় না । এখানে দেখা উচিত যে,