পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* a : বাল্মীকি ও ৩২সাময়িক বৃত্তান্ত । চতুর্থ তাহার-সঞ্চয়ন, বিপদ হইতে রক্ষা করণ, ও দেবতত্ত্ব জ্ঞাপন, এই তিনের মধ্যে পর পর উচ্চ বৃত্তি কাহার ? এ স্থলে সহজেই প্রতীত হইবে, দেবতত্ত্বজ্ঞের পদ প্রথম, রক্ষক দ্বিতীয়, আহার-সঞ্চায়ক তৃতীয় পদে অধিষ্ঠিত হইতে পারে। দেবতত্ত্বজ্ঞ দেবপ্রসন্নতা-বলে রক্ষককে রক্ষা না করিলে, এবং তদ্বারা রক্ষকেরা সুরক্ষিত হইয়া আছার-সঞ্চায়ককে বাহিক বিপদ হইতে রক্ষা না করিলে, আহার-সঞ্চায়ক আহার-সঞ্চয়নে অক্ষম । অতএব যাহাকে যে পরিমাণে বশ্যতা স্বীকার করিতে হয়, সে নিঃসন্দেহ সেই পরিমাণে হীনতাযুক্ত। দেবতত্ত্বজ্ঞ, রক্ষক ও আহার-সঞ্চায়কের যেরূপ পৰ্য্যায় এখানে যুক্তি অনুসারে প্রদর্শিত হইল, সৰ্ব্বদেশীয় প্রাচীন ইতিহাস বিলোড়ন কৱিলে কাৰ্য্যতঃ তাহাই লক্ষিত হইবে। সে যাহা হউক, আর্য্যের পূর্বে যে স্থলে বাস করিতেন, তথাকার বসুমতী তত অনুকূল ছিলেন না, যে আবশ্বক-অনুযায়ি ধন ব্যতীত, আর কিছু উদৃত্তভাবে দিয়া বিলাসপ্রিয়তার উৎসাহবৰ্দ্ধক হয়েন । আর্য্যদিগের বিলাসপ্রিয়তা নিঃসন্দেহই রত্নপ্ৰসবিনী ভারতভূমিতে আগমনের পূর্বে উদ্ভূত হয় নাই । এতদ্বিষয়ে আর্য্যজাতির প্রাচীন বাসস্থল বা তৎসান্নিধ্যবাসী শকজাতির ব্যবহারপ্রণালী বিশেষ সাক্ষ্য । এই সকল কারণে অনুমান হয় যে, আদিতে অর্য্যেদিগের মধ্যে ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য এই তিন মন্ত্র ক্রমমিম্ব সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব ছিল । কারণ, ঐ সময়ে ঐ তিন বৃত্তিই বহুবিস্তারসম্পন্ন হুইয়াছিল। অতঃপর জাতিৰিচার-বিষয়ক শাস্ত্রীয় প্রমাণমালা আলোচনা করা যাউক । সমস্ত ঋগ্বেদ অনুসন্ধান করিলে, এক