পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায়।] নিকৃষ্ঠুৰৰ্থ। २०७ দশমমণ্ডলস্থ পুরুষ-সূক্ত ব্যতীত আর কোথাও জাতিবিচারের উল্লেখ লক্ষিত হয় না। ঐ সূক্তে কথিত আছে যে, পুরুষ দেবগণ কর্তৃক বলি প্রদত্ত হইলে তিনি বিশ্বব্যাপ্ত হইলেন । তৎপরে তাহার মুখ কি, বাহু কি, উরু কি এবং পদ কি ? যং পুরুষং ব্যাধু কথিতাব্যকল্পয়ন। মুখং কিমস্ত কে বাহু কা উরূ পাদ উচ্যেতে ॥ তদুত্তরে কথিত হইয়াছে যে, ব্রাহ্মণ পুরুষের মুখ, ক্ষত্রিয় বাহু, যাহা তাহার উরু তাহা বৈশ্বভাগ এবং পদ হইতে শূদ্র উৎপত্তি হইয়াছিল। "ব্রাহ্মণোহন্ত মুখমাসীদ বাহু রাজন্য: কৃতঃ । উরু তদস্য যদবৈশ্যঃ পদ্ভ্যাং শূদ্র অজায়ত ॥৮ এই স্থলের অর্থ মুদ্র সাহেব এইরূপ করিয়াছেন “The Brah min was his mouth ; the Rajanya was made his arms; that which was the Vaisya was his thighs; the Sudra sprang from his feet. আশ্চর্য্য বটে যে, মাধবাচার্য্য বা সায়নাচাৰ্য্য কৃত ভাষ্য পরিত্যাগ করিয়া মুরসাহেবের কৃত অর্থ গ্রহণ করিলাম, ঐ ঐ মহোপাধ্যায়দিগের স্থানে মুরসাহেবের মৃত্য দর্শন করাইলাম। কিন্তু কি করিব, আমাদের দশাই এই। উক্ত আচাৰ্য্যদ্বয়ের ব্যাখ্যার স্থানদান আমার এ প্রবন্ধের সাধ্যাতীত। কলুকভট্ট মনুসংহিতার টাকায় লিখিয়াছেন যে, পুরুষ অর্থাৎ ব্রহ্মার মুখ হইতে ব্রাহ্মণ, এবং যথাক্রমে উপরে উক্ত অন্যান্য জাতিত্ৰয় যথাস্থান হইতে দৈবপ্রভাবে উৎপন্ন হইয়াছেন, এবং ইহা সৰ্ব্বসন্দেহের বহির্ভূত, যেহেতু উহ শ্রুেতিসিদ্ধ, এই শ্রীতিসিদ্ধত প্রদর্শনার্থে বেদোক্ত উক্ত