পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२० 8 বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । চতুর্থ সূক্তের উল্লেখ করিয়াছেন। তা যাহাই হউক, উক্ত বেদোক্ত পদ অনুসারে ঘামাদের যতদূর বিবেচনা হয়, তাহাতে বোধ হয় যে, শূদ্রের জন্ম সর্বাপেক্ষ পরে এবং অন্যান্য তিন জাতি তাহার পূর্ব হইতে বর্তমান ছিল । ভাগবত পুরাণে দ্বিতীয় স্কন্ধে পঞ্চম অধ্যায়ে কথিত হইয়াছে যে “পুরুষস্য মুখং ব্রহ্ম ক্ষত্ৰমেতস্য বাহবঃ । উর্বোর্বৈশ্যে ভগবতঃ পদ্ভ্যাং শূদ্র অজায়ত ॥” ইহা বেদানুরূপ কথিত, এবং যেরূপে বেদোক্ত পদের অর্থ নিষ্পন্ন হয়, ইহা তাহার সম্পূর্ণ প্রতিপোষক। যদি এই সকলের দ্বারা এরূপ অভিপ্রায়ই গ্রহণ করি যে, ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় ও বৈশ্ব পূর্বে ছিল, এবং শূদ্র পরে উৎপত্তি লাভ করিয়াছে, তবে সেই শূদ্র আগে কাহারা ছিল, কিরূপে সমাজস্থ হইল, এবং কি মূল কারণ অনুসারে তাহারা সমাজে হেয় বলিয়। পরিগণিত হইল, এ প্রশ্ন স্বতই উপস্থিত হয়। সে প্রশ্ন বিবেচিত হওয়ার পূর্বে জাত্যুৎপত্তি সম্বন্ধে অন্যান্য শাস্ত্রীয় তত্ত্ব আলোচনা করা কর্তব্য । বায়ুপুরাণে লিখিত আছে যে, আদিতে কোন জাতিভেদ ছিল না, কিংবা কোনরূপ বর্ণসঙ্করও ছিল না। ত্রেতাযুগারম্ভে মনুষ্যগণ ক্লেশযুক্ত হইয়া স্বয়স্তুর নিকট উপস্থিত হইল। ব্ৰহ্মা তাহাদিগের দুর্দশা-দর্শনে, আহারদানান্তে ক্লেশ দূর করিয়া, ভবিষ্যতে তদ্রুপ যাহাতে না হইতে পারে, তজ্জন্য জাতিবিভাগ করিয়া দিলেন। যাহারা বেদপারগ তাহদিগকে ব্রাহ্মণ করিলেন; যাহারা বীরকার্য্যে দক্ষ তাহাদিগকে ক্ষত্রিয় করিলেন ; যাহারা কৃষি ও বাণিজ্যে দক্ষ তাহাদিগকে