পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায়।] निझटेक्जैं । s." আমাদের দ্রষ্টব্য যে শূদ্র কাহারা। যদি ইহারা আর্য্য ংশের এক শাখা হইত, তবে গোত্রস্থ নহে*কেন ? (২) প্রবর উচ্চারণপূর্বক অগ্নি-আহবান এবং পৈতা-ধারণ তিন জাতির পক্ষে বিধানিত হইয়াছে, ইহাদের হয় নাই কেন ? অার্য্যগোত্র এবং তাহার প্রবরমালা আর্য্যবংশোদ্ভব বা তৎসংস্রবে উৎপন্ন ব্যতীত অন্যের থাকিতে পারে না। ঋগ্বেদের দশমমণ্ডলস্থ পুরুষ-সূক্ত ব্যতীত, আর সর্বত্রে আর্য্য এবং অনার্য্য, দস্থ্য বা দাস এই দ্বিবিধজাতীয় লোকের উল্লেখ পাওয়াযায়। আর্য্যগণ পূৰ্ব্বাপর শূদ্রগণকে অনাৰ্য্য বলিয়া থাকেন। সে যাহা হউক, এই যে দ্বিবিধমাত্র জাতির উল্লেখ পাওয়া গেল, ইহার একভাগ অর্থাৎ আর্য্যনামধারীদিগকে আমরা জানি, কিন্তু দাস বা দসু্য কাহারা ? এই দাসবর্গ ঋগ্বেদ অনুসারে (১১৩° ৮,৯৪১।৭৩,২।২০।৭, ৪।১৬।১০, ৭৫৩ ইত্যাদি) কৃষ্ণবর্ণ ছিল। আর্য্যগণ পূর্বাবধি হিমপ্রধান দেশে বাসহেতু পরিচ্ছন্নবর্ণবিশিষ্ট, ভারতে আগমন মাত্রেই যে র্তাহাদের বর্ণ কৃষ্ণতা প্রাপ্ত হইয়াছিল তাহা নহে । আজি পৰ্য্যন্ত তৈলঙ্গভূমে সাধারণজাতি কৃষ্ণকায়, কদাকার, কিন্তু আর্য্যবংশোদ্ভব ব্রাহ্মণের প্রায় সৰ্ব্বদাই সুশ্ৰী ও সুপুরুষ । বিশেষতঃ আৰ্য্যদিগের দ্বারাই বর্ণপার্থক্যের উল্লেখ হওয়ায়, তাহদের নিজের বর্ণ যে কৃষ্ণতা হইতে পৃথক তাহা (২) এখানে সঙ্কর বর্ণ জ্ঞাতব্য নহে, তাহাদিগের মিশ্ৰিত ভিন্ন ভিন্ন আর্য্যগোত্র এবং প্রবর আছে। এখানে মূল শূদ্ৰজাতিকে জানিতে হইবে, তাহারা আর্য্যগোত্রস্থ নহে। গোত্রমালা পরিশিষ্টে দেওয়া গেল ।