পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०ध्र বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । (5ਰ੍ਹਾਂ জ্ঞাপিত হইতেছে। কৃষ্ণবর্ণদাসবর্গসম্বন্ধে ঋগ্বেদভাষ্যকার মহামহোপাধ্যায় সায়নাচাৰ্য্য বলিয়াছেন “দাসং বর্ণং শূদ্রাদিকং যদ্বা দাসমুপক্ষপরিতারম অধরং নিকৃষ্টমমুরম্।” কৃষ্ণবর্ণগণের শূদ্র নামের পরিচয় বহু স্থানে পাওয়াযায়, যথা মহাভারতে শান্তিপর্বে ১৮৮ অধ্যায়ে অসিতবর্ণগণ শূদ্র বলিয়া কথিত হইয়াছে। পুনশ্চ ভাগবতের দ্বিতীয় স্কন্ধে. প্রথম অধ্যায়ে কথিত হইয়াছে যে, ভগবানের মুখ ব্রাহ্মণ, ভুজ ক্ষত্রিয়, উরু বৈশ্য এবং পদ কৃষ্ণবর্ণগণ । অপিচ কৃষ্ণবর্ণ অস্তুর এবং অনাৰ্য্যসন্তুতেরা আর্য্যসহ তুলনায় তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণে - “দৈব্যে বৈ বর্ণে ব্রাহ্মণঃ। অসুৰ্য্যঃ শূদ্রঃ ” বলিয়া উক্ত হইয়াছে। এই সকল কারণে বিবেচনা করি যে, যে অনার্য্য কৃষ্ণবর্ণ দস্থ্যবর্গের জ্বালায় আর্য্যের অতিপ্রাচীন কালে নিরন্তর প্রপীড়িত হইতেন, এবং যাহাদিগের সহ তাহদের বিবাদ সংঘটন হওয়ায়, তৎসূত্রে পরবর্তী সময়ে শুম্ভনিশুম্ভ-নাশে জগদ্ধাত্রী, মহিষাসুর-নাশে দশভূজা, রক্তবীজনাশে উগ্র চণ্ড প্রভৃতি দেবী এবং অসুরকুল কল্পিত হইয়াছে, সেই অনাৰ্য্য কৃষ্ণবর্ণ দাসবর্গই শুদ্রবংশের আদি পুরুষ। শূদ্রদিগের পক্ষে অহঙ্কার এবং গৌরবের বিষয় বটে যে, পৌরাণিক এবং তান্ত্রিক ধৰ্ম্মের তাহারাই বহুলাংশে মূলীভূত কারণ, এবং আর্য্যদিগের বশ্যতা স্বীকার সত্ত্বেও আর্য্যসমাজকে মহন্ধুত্তেজিত করিতে সক্ষম হইয়াছিল। স্বাধীন রক্ত পরাধীন হইলেও, সহসা তাহার কার্য্যকারিতা লোপ পায় না ।