পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* > * বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । চতুর্থ ২৯ অধ্যায়ে লিখিত আছে যে চন্দ্রবংশস্থ রাজা পুরোরবার ংশে উৎপন্ন শৌনক হইতে ব্রাহ্মণ ক্ষত্ৰিয় বৈশ্ব ও শূদ্র এই কয়জাতীয় লোকেরই উৎপত্তি হয়, অর্থাৎ তাহার বংশধরেরা । স্বস্বকৰ্ম্মানুসারে তদ্রুপ উদ্ভমাধমতা লাভ করিয়াছিল। বিষ্ণুপুরাণে এবং ভাগবত পুরাণে উভয়েতেই লিখিত আছে ষে, সিনিনামক ক্ষত্রিয়রাজের পুত্র গাগ্য ক্ষত্রিয় হইয়াও ব্রাহ্মণত্ব লাভ করিয়াছিলেন । মহাভারতের অনুশাসন পর্বে কথিত হইয়াছে যে, ক্ষত্রিয়রাজ বিতিহব্য মহর্ষি ভৃগুর অনুগ্রহে ব্রাহ্মণত্ব প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, এবং কাহার কাহার মতে ইনি অনেক বেদদৃক্ত প্রণয়ন করেন । বিখ্যাত ক্ষত্রিয়কুলজাত । বিশ্বামিত্রের ব্রাহ্মণত্ব-লাভ কাহারও অবিদিত নাই। এতদ্ব্যতীত আহার ব্যবহার বিবাহ প্রভৃতিও প্রচলিত ছিল । দুৰ্ব্বাসা পাণ্ডবের অন্ন ভোজন করিয়াছিলেন। কৃষ্ণ গোপান্নভোজী হইয়াও ক্ষত্ৰিয় । অগস্ত্য প্রসিদ্ধ এবং বেদপারগ ঋষি হইয়াও, জাতি যাওয়ার আশঙ্কাবিহীন হইয়া, ইল্বল এবং বাতাপি নামক অনার্য্য অস্থরদ্বয়ের আতিথ্য স্বীকার করিয়াছিলেন । এত বলারই বা প্রয়োজন কি, এ বিষয়ের উদাহরণ যে সে পৌরাণিক গ্রন্থে মিলিতে পারে । আবার দেখ, ক্ষত্রিয়কস্তা লোপামুদ্রা অগস্ত্যের সহধৰ্ম্মিণী, দেবজানী ব্রাহ্মণকন্যা হইয়াও যযাতির গৃহিণী। মহর্ষি ভৃগুর গৃহিণী ব্রাহ্মণকন্যা হওয়া সত্ত্বেও ভূগুর সহিত বিবাহ হইবার পূর্বে একজন অনাৰ্য্য অসুরের সহ তাহার বিবাহের সম্বন্ধ হইয়াছিল। দ্রৌপদীর স্বয়ম্বরে ধৃষ্টদ্যুম্ন ঘোষণা করিয়াছিলেন যে, যে জাতি হউক, লক্ষ্য ভেদ করিতে পারিলেই তিনি তাহার শালা