পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ বাল্মীকি ও তৎসামরিক বৃত্তান্ত । চতুর্থ কাৰ্য্যের কর্তা করা বিচিত্র নহে। অতএব সেই সকলের অভিপ্রায় এবং তাৎপৰ্য্য মাত্র গ্রহণ করিতে হইবে । পূর্ববর্ণিত সম্প্রদায়-পরম্পরায় সুখ-সম্মিলন বা আদান প্রদান যে কেবল বেদচতুষ্টয়ের সময়ে ছিল, এমন নহে । আপস্তম্ব-ধৰ্ম্মসূত্রের জন্মকালে শূদ্রের পক্ষে যদিও বহুতর কঠিন বিধি বিধানিত হইয়াছিল, তথাপি ঐ সূত্রে এরূপ বিধিও পাওয়াযায় যে, ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় ও বৈশ্ব ক্রিয়াবিদ্বেষী হইলে, পর পর অধম জাতিত্ব প্রাপ্ত বা একেবারে অধমত্ব প্রাপ্ত হইয়া থাকে। তদ্রুপ শূদ্র বৈশ্য ও ক্ষত্রিয় ক্রিয়াবিশিষ্ট হইলে পর পর বা একেবারে উচ্চজাতিত্ব প্রাপ্ত হইতে পারে । “ধৰ্ম্মচৰ্য্যয় জঘন্তো বর্ণ পূর্বং পূর্বং বর্ণমাপদ্যেত জাতিপরিবৃত্তেী, অধৰ্ম্মচৰ্য্যয় পূর্বে বর্ণে জঘন্যং জঘন্যং বর্ণমাপদ্যেত জাতিপরিবৃত্তেী । ধৰ্ম্মস্বত্র, মক্ষমূলর কর্তৃক উদ্ধৃত। সম্প্রদায়-পরম্পরায় সুখ-সম্মিলন, স্বাধীন ও সরল সমাজের স্বাভাবিক গতির ক্রিয়া । যথায় পরস্পরে সম্বন্ধ-বিচ্ছেদ নাই, তথায় এরূপ হওয়া সৰ্ব্বদাই সম্ভব এবং তদ্রুপ হইয়াও থাকে । এবং যেখানে এরূপ থাকে, তথায় উচ্চত্বপ্রাপ্তি । এবং নীচত্বে অভিগমন মানবের আয়ত্তাধীন থাকা হেতু, চিত্ত উৎসাহিত হইয়া থাকে। আপন হীনতায় কয়জন সন্তুষ্ট থাকিতে চায় ? সকলেরই কিছু না কিছু ফলাশী থাকিলে, যথাসম্ভব চেষ্টা করিয়া থাকে, সে চেষ্টায় কতদূর মুফল ফলিতে পারে, তদ্বিস্তার করা নিম্পয়োজন। ভারতের