পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায়| নিকৃষ্টবৰ্গ | 3>N○ আদিম অবস্থায় সমাজের মধ্যে উচ্চজাতিত্ব এবং নীচজাতিত্বরূপ পুরস্কার এবং তিরস্কারের অবস্থান থাকাঁতেই বোধ হয় ভারতের প্রাচীনতম উন্নতির পথ বহুলভাবে পরিষ্কার হইয়। আসিয়াছিল। যাহা হউক, এরূপ ভাবে কিছু দিন চলিয়া আসিলেই দেখিতে পাওয়াযায় যে, এখন আর হিন্দুসমাজে কেবল কৰ্ম্মানুসারে নীচ বা উচ্চতা প্রাপ্ত হয় না ; গুণাবলি বহুপরিমাণে উপেক্ষিত হইতেছে এবং ক্ষমতাশালী ব্যক্তির ইচ্ছার উপর নির্ভরই প্রবল হইতেছে। যে দিন দেখিতে পাওয়া গেল যে, অতি সামান্য কারণে ব্যক্তিবিশেষের বা সম্প্রদায়বিশেষের রোষ বা তোষ উৎপাদন হেতু, কেহ অধম কেহ উত্তম হইতেছে, ও গুণাবলির প্রতি লক্ষ্য কমিয়া গিয়াছে, সেই দিনই, আমার বোধ হয়, ভারতের ভাবি অনিষ্টের বীজবপন হইয়াছে, সেই দিনই ভারতের সুখ-সূৰ্য্য মধ্যাহ্নসেন পরিত্যাগ করিতে উদ্যত হইয়াছেন । এরূপ যদৃচ্ছাভাব কোন সময়ে হইতে পারে । সমাজ যখন পূর্ব সরলতা অৰ্দ্ধ বিস্তৃত হইয়াছে, যখন তাহাতে বিষয়বৈষম্য জন্মিয়াছে, যখন বিলাসপ্রিয়তা বৃদ্ধি হইয়াছে, যখন সমাজে কুটিলতা প্রবেশ করিয়াছে, যখন নিকৃষ্ট ব্যবসায়ীর প্রতি হেয়ত্বভাব বিশেষরূপে স্থাপিত হইয়াছে, যখন উচ্চ জাতিগণ আপনাপন উচ্চতা প্রতিপাদন এবং তাহ রক্ষার্থে পরম যত্নশীল হইতেছে, ইহা সেই সময়ের কার্য্য বলিয়া অনুমিত হয়। এই সময়েই হরিশ্চন্দ্র অতি সামান্য কারণে বিশ্বামিত্রের ক্ৰোধোৎপাদন করিয়া চণ্ডালত্ব প্রাপ্ত হয়েন। এই সময়ের উচ্চ জাতির কিরূপ কুটিলতা, যদি মার্কণ্ডেয়পুরাণোক্ত বাক্য