পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিকৃষ্টবৰ্গ । > >(t রাগোৎপাদনের আর কোন কারণ তিষ্ঠিতে পারে না । তথাপি যে আর্য্যধর্মের মূলে এবস্তৃত বাক্যংযোগ যে “ক্ষমা দানং ক্ষমা সত্যং ক্ষমা যজ্ঞশ্চ পুত্রিকে । ক্ষমা যশঃ ক্ষমা ধৰ্ম্মঃ ক্ষমায়াং নিষ্ঠিতং জগৎ ॥” সেই আর্য্যধৰ্ম্মের একজন রক্ষক, ক্ষমা স্বপ্নেও না দেখিয়া, বিনা কারণে হরিশ্চন্দ্রের কিরূপ তুর্দশা করিয়াছিলেন, তাহ। পুরাণে সবিস্তর বর্ণিত আছে ; উচ্ছিন্ন যাও । এতদ্ব্যতীত ত্রিশঙ্কু বশিষ্ঠ ঋষির শাপে চণ্ডালত্ব প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, আবার ব্রাহ্মণের সন্তোষ সাধন করিয়া আপনার পূর্বপদ প্রাপ্ত হয়েন। এই সময়ে বেণরাজার পুত্ৰগণ ব্রাহ্মণ কর্তৃক শাপগ্রস্ত হইয়া নিষাদত্ব প্রাপ্ত হয়েন । এই সময়েই ঐতরেয় ব্রাহ্মণে বর্ণিত বিশ্বামিত্ৰ ঋষির পুত্ৰগণ শাপগ্ৰস্ত হইয়া অনার্য্যজাতিত্ব প্রাপ্ত হয় । ক্রমে দেখা যাইতেছে যে, উচ্চ বর্ণের প্রভুত্ব বৃদ্ধি হই তেছে, এবং তাহারা নীচ বর্ণকে প্রায় করতল-আয়ত্ত করিয়া তুলিয়াছেন। এমন সময়ে যাহাদের উৎপত্তিই নিকৃষ্টতায়, তাহারা যে আরও নিকৃষ্টভাবে সমাজে ব্যবহৃত হইবে তাহ সিদ্ধ। তখনই শূদ্রের পক্ষে অপেক্ষাকৃত কঠিনতর নিয়ম সকল প্রবর্তিত হইতে আরম্ভ হইল। যথা, উৎকৃষ্ট বর্ণ শূদ্রভাৰ্য্যায় ব্যভিচাররত হইলে বনবাসযোগ্য, কিন্তু শূদ্র আত্ম হইতে উচ্চ তিন বর্ণে ব্যভিচারযুক্ত হইলে বধ্য। নিম্নোদ্ধত অংশ দ্রষ্টব্য “নাশ্য আৰ্যঃ শূদ্রায়াং বধ্যঃ শূদ্র আর্য্যায়াং " | (নাশ্যে নির্বাস্যঃ)—ধৰ্ম্মস্বত্র, মক্ষমূলর উদ্ধত ।