পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] - - - - নিকৃষ্টবৰ্গ । २*** শেষ এবং অসহনীয় ; সময়ের উপযুক্ত ত্রাণকর্তা মহেন্দ্রপৰ্ব্বতবাসী জটাকুঠারধারী পরশুরামের আবিষ্ঠাব হইল, এবং ক্ষত্রিয় রক্তে তিনি ক্ষত্রিয়হস্তহত পিতৃগণের তর্পণ করিয়া ক্ষান্ত হইলেন। বহুকাল-প্রচলিত দ্বন্দ্বে অবশেষে ব্রাহ্মণের জয়লাভ হইল, ব্রাহ্মণগণ নিষ্কণ্টক হইলেন। এই দিন হইতেই জাতিবন্ধন দৃঢ় হইবার সূত্রপাত হইল। এখন আর ব্রাহ্মণের আগেকার ব্রাহ্মণ নহেন, অধম বর্ণের নিকট দেৰবহু পূজনীয়। যদি কেহ অধম বর্ণের ভবনে আহারাদি করিতেন বা কোন দ্রব্যাদি গ্রহণ করিতেন, তাহ হইলে সে অধম বৰ্ণকৈ চরিতার্থ করিবার নিমিত্ত ও তাহার জন্ম সার্থক করিবার নিমিত্ত করিতেন, অধম বর্ণের বহু পুণ্যফল হেতু করিতেন। পরে যদিও ক্ষত্রিয়গণ আবার বহুবলবান হইয়াছিলেন, কিন্তু ব্রাহ্মণের প্রভুত্ব লোপ পায় নাই। ইহার কারণ নানাবিধ, প্রথমতঃ, ব্রাহ্মণগণ ইত্যবসরে বানপ্রস্থ ব্রহ্মচৰ্য্য ও নিষ্ঠাচার কিঞ্চিৎ প্রবল করিয়া আপনাদিগকে সাধারণের সমীপে দেববং পূজ্য করিয়া তুলিয়াছিলেন। দ্বিতীয়তঃ, ধৰ্ম্মভীরু ভারতে ধৰ্ম্মের তত্ত্ব অন্য সকল হইতে অন্তর করিয়া আপনাদিগের হস্তে বহুলাংশে রাখিয়াছিলেন, অন্যান্য উচ্চ বর্ণের যাহা কিছু তাহাতে অধিকার ছিল, তাহ প্রথমতঃ নৈরাশ্বে, দ্বিতীয়তঃ বিলাসপ্রিয়তায় সে অধিকারের উৎকর্ষ লাভ হয় নাই। তৃতীয়তঃ, প্রাচীন রীতি নীতির পক্ষপাতি ভারতে কালসহকারে ব্রাহ্মণদিগের ক্ষমতার বিদ্বেষী আর কেহ হইল না । চতুর্থতঃ, আদিতে বিবাদী ক্ষত্ৰীয়গণের মনে ব্রাহ্মণের সহ কিছুপূৰ্ব্বগত যে ঘনিষ্ঠতা জাগরূক ছিল,