পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায়] নিকৃষ্টবৰ্গ । **〉 উপরে উক্ত বিবাদে কিঞ্চিৎ ক্ষতি স্বীকার সত্ত্বেও ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্ব স্বপদে স্থাপিত রহিল। কিন্তু শূদ্রদিগের অবস্থ৷ একে ত হীন, আরও শোচনীয় হইয়া উঠার কারণ কি ? শূদ্রের একবার আর্য্যদিগের বশ্ব্যতা স্বীকার করিয়া বরাবর নিরীহভাবে ব্যবহার করিয়া আসিয়াছিল ; ওরূপ হেয় ভাবে শাসিত হইবার জন্য, এক অনাৰ্য্যজাতিত্ব ব্যতীত আর কোন কারণ কখন প্রদান করে নাই। আদিম কালে ইহারা উচ্চ বর্ণের দ্বারা অতি দয়ার সহিত ব্যবহৃত হইত। কিন্তু পরবৰ্ত্তী সময়ে উচ্চ বর্ণের বিষয়বৈষম্যে, ইহাদের নীচজাতত্ব হেতু, উচ্চ বর্ণের দ্বারা ইহারা পূর্বের ন্যায় সরল চক্ষে দৃষ্ট হইত না, ইহা ধৰ্ম্মসূত্রোক্ত বচন দ্বারা প্রতিপাদিত হইয়াছে। তৎপরে উচ্চ ও অধম বর্ণের বিবাদ আরম্ভ, এই বিবাদ-ফলেই ইহার প্রধানতঃ মারা গিয়াছে, কথায় বলে “র্ষাড়ে র্যাড়ে যুদ্ধ হয়, নল খাগড়ার প্রাণ যায়” ইহাদেরও তাঁহাই হইয়াছিল। ব্রাহ্মণের নিম্নস্থ জাতির উদ্ধে হেয়ত্ব যাহা প্রাপ্ত হইতেন, নিম্নে তাহার পরিশোধ লইতেন ; অত্যুৎকর্ষবিহীন মানব-চিত্তের কার্য্যই এরূপ। এবং ব্রাহ্মণেরও ক্ষত্রিয় প্রভৃতিকে না চটাইয়া তাহাদিগকে কিছু কিছু হাতে রাখিবার নিমিত্ত, অধম বর্ণের প্রতি দর্শিত সেই সকল হেয়ত্বভাব অনুমোদন করিতেন। এইরূপ নানা দিক হইতে ঘৃণাবর্ষণ হওয়ায় নিকৃষ্টবৰ্গ অত্যন্ত হেয় হইয়া উঠিল। ব্রাহ্মণের যখন র্তাহাদের প্রভুত্বলাভে ব্যগ্র হয়েন, তখন শূদ্রই একমাত্র যে র্তাহাদের বিষদৃষ্টিতে পড়িয়াছিল, এমম নহে, সাধারণের সকলেই। সেই সাধারণের মধ্যে নিকৃষ্টবৰ্গও যে