পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२२ বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত। চতুর্থ অন্যান্যের সঙ্গে সেই বিষদৃষ্টির অংশীদার হইয়াছিল, তাহ নিঃসন্দেহ । সুতরাং এই প্রাপ্য অংশ এবং উপরি-উক্তরূপ ব্রাহ্মণপ্রপীড়িত অপেক্ষাকৃত উচ্চ বর্ণের দ্বারা ঘৃণাবর্ষণ, এতদুভয়ের একত্র যোগে নিকৃষ্টবর্গের অবস্থা শোচনীয় হইয়া উঠিয়াছিল। যাহা হউক, যাহারা নিরীহ, তাহাদের উপর দৌরাত্ম্য, দৌরাত্ম্যকারীদের বহুগুণ সত্ত্বেও, তদানুষঙ্গিক হীন প্রকৃতির পরিচায়ক । উপরে যাহা বিবৃত হইল, তাহা মূলজাতিচতুষ্টয়ের এবং তদন্তৰ্গত শূদ্রপৰ্য্যায়ের বিষয়, কিন্তু প্রস্তাবারম্ভে অন্ত্যজ সঙ্করজাতির নামোল্লেখ করা গিয়াছে। তাহদের সামাজিক পদ পূর্বেই বিবেচিত হইয়াছে। উহাদের জন্মতত্ত্ব মূল চারিজাতি হইতে ভিন্নতর, এবং উহাদিগের নামের দ্বারাই পরিজ্ঞাত হওয়া যাইতেছে যে উহার কোন মূলজাতির অন্তর্গত নহে । চতুর্বির্ধ জাতি স্থাপনের পরে যাহারা সাঙ্কর্য্যে উৎপন্ন হইয়াছে, তাহাদের মধ্যে প্রতিলোমশ্রেণীভুক্তদিগের উৎপত্তিতত্ত্ব মনুতে এবংবিধ ইতিহাস সহ দেওয়া হইয়াছে।—বেণরাজার রাজত্বকালে মানবগণ কামাসক্ত হইয়া যথেচ্ছা অভিগমন আরম্ভ করিলে, বহুবিধ সঙ্করবর্ণের উৎপত্তি হয়, এবং ঐ গ্রন্থে কথিত মত শ্রেণীবিভাগে বিভক্ত হইয়া সমাজভূক্ত হয়। সে যাহা হউক, সঙ্করবর্ণ দুইরূপ। অনুলোম ও প্রতিলোম । যাহারা উচ্চবর্ণের পুরুষ ও নীচবর্ণের কন্যার সহ বিবাহে উৎপন্ন, তাহারা অনুলোমশ্রেণীভূক্ত, এবং যাহারা বিভিন্ন বর্ণের স্ত্রী পুরুষের যদৃচ্ছা ব্যভিচারে উৎপন্ন, তাহারা প্রতিলোমশ্রেণীভুক্ত। এ সকলের