পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] छू-ब्रुखांख् । >> ১১ । মৎস্য দেশ —মনুসংহিতায় . “কুরুক্ষেত্রঞ্চ মৎস্তাশ্চ পঞ্চালা: স্বরসেনক । এষ ব্রহ্মর্ষিদেশে বৈ ব্রহ্মাবৰ্ত্তাদনন্তরং ।” এই ব্রহ্মর্ষি ব্রহ্মাবৰ্ত্ত (৭) ও যমুনার মধ্য । উইলসন বলিয়াছেন যে, ভিন্ন ভিন্ন প্রমাণ অনুসারে মৎস্য দেশের অবস্থান দ্বিবিধ নিরূপিত হয়। চন্দ্রসোমরাজ-অনুসারে বর্তমান জয়পুর, আবার মহাভারতের নকুলের দিগ্বিজয়-অনুসারে গুজরাটের সান্নিধ্যে । আমাদের বিবেচনায় জয়পুরই প্রাচীন মৎস্য দেশ । ১২ । পঞ্চাল —মহাভারতে দেখা যায় যে, পঞ্চাল দ্বিভাগে বিভক্ত, উত্তর পঞ্চাল ও দক্ষিণ পঞ্চাল । উত্তর পঞ্চাল বর্তমান রোহিলাখণ্ড, প্রাচীন রাজধানী অহিচ্ছত্রা । দক্ষিণ পঞ্চাল গঙ্গার দোয়াব, প্রাচীন রাজধানী কাম্পিল্য নগর । রামায়ণের সময়েও যে পঞ্চাল এরূপ বিভাগদ্বয়ে বিভক্ত ছিল, তাহার কোন উল্লেখ নাই । পরন্তু না থাকাই সম্ভব । যেহেতু যে কাম্পিল্য নগর মহাভারতে দক্ষিণ পঞ্চালের রাজধানী বলিয়া কথিত হইয়াছে, রামায়ণের সময়ে উহ স্বনামখ্যাত এক পৃথক্ প্রদেশের রাজধানী ছিল। আবার ইহার পরেই সাঙ্কাস্যা প্রদেশের অবস্থান। এনিমিত্ত রামায়ণের সময়ে দক্ষিণ পঞ্চালের অস্তিত্ব নিরূপিত হয় না। ১৩। কাম্পিল্য –কাম্পিল্য নগরের চতুর্দিকস্থ প্রদেশ । (৭) “সরস্বতী-দৃশদ্বত্যে দেবনদ্যোর্যদন্তরং। তং দেবনিৰ্ম্মিতং দেশং ব্ৰহ্মাবৰ্ত্তং প্রচক্ষতে ॥” মন্ত্র ২১৭ ।