পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিশিষ্ট । २२ ११ কট দ্বারা গীত এবং অপর কতকগুলি কটবংশস্ত উৎকিল দ্বারা গীত হইয়ছে। এখানে দেখা যাইতেছে যে, একবংশস্থ কত ভিন্ন ভিন্ন পুরুষের দ্বারা হুক্ত সকল রচিত হইয়াছে। পূৰ্ব্বগত পুরুষের যে সমস্ত স্বত্ত রচনা করিয়াছিলেন, তাহা যত্নসহকারে রক্ষিত হয় এবং তাহার সঙ্গে উত্তরপুরুষদিগের রচিত স্বত্ত সকল যোগ হওয়ায়, কালসহকারে এক এক কুলে বহু স্বত্ত রচিত হইয়াছিল । অনন্তর এক সময়ে সেই সকল একত্র সংগৃহীত হইয়া “বেদ” নামে পরিচিত হইয়াছিল। বহু কাল ধরিয়৷ বহু লোকের রচিত গাথা একত্রে সংগৃহীত হইলে কিরূপ বৃহৎ ও রায়ত্ত হয় তাহ অনুভব করা যাইতে পারে। এতন্নিমিত্ত যে যে শ্রেণীর পুরোহিতের যে যে অংশ আবশ্যক, সেই বিবেচনায় বেদকে বিভাগ করা হয়, আবশ্যকের উপর নির্ভর হেতু বিশেষ বিশেষ স্বত্ত বেদের সকল বিভাগেই লক্ষিত হয়। এই বিভাগ চারিট অর্থাৎ ঋক্, যজুঃ, সাম ও অথৰ্ব্বন বলিয়া সাধারণের মধ্যে পরিজ্ঞাত। বেদ-বিভাগের বহু পরে যে সকল স্বত্ত রচিত হইয়াছিল, তাহার “বালখিল্য-স্থ স্তু ” ইত্যাখ্যায় সংহিতার শেষ ভাগে যোজিত। এই বিভাগচতুষ্টয়ের মধ্যে হোতৃদিগের নিমিত্ত ঋক্, অধ্বদিগের নিমিত্ত যজুঃ, এবং উগাদিগের নিমিত্ত সাম। অথৰ্ববেদ অন্যান্য বেদ সহ ব্ৰহ্ম পুরোহিতের জন্য। অথৰ্ব্ববেদে মারণ, উচ্চাটন, বশীকরণ, আপন্নিবারণ প্রভৃতির মন্ত্র ও বিধি আছে, ব্রহ্মা পুরোহিতকে উহ বিশেষ অভ্যস্ত করিতে হইত, কারণ, যজ্ঞের বা কোন ক্রিয়ার সমস্ত ভাল, মন্দ তদারক, ও অসুর-দৌরাত্ম্য ও অন্যান্য আপং হইতে যজ্ঞ রক্ষা করা তাহার কার্য্য। । বেদ সকল তথাপি বহায়তন থাকায়, আবশ্যক অনুরোধে বহুতর শাখায় বিভক্ত হয়। নিরুক্তভাষ্যকার দুর্গাচাৰ্য্য কহেন যে, ইহা ব্যাসের তত্ত্বাবধানে সাধিত হয়, “বেদং তাবদেকং সন্তম অতিমহত্বাদ দুরধ্যেয়মনেকশাখাভেদেন সমান্নাসিষ্ণু । মুখগ্ৰহণায় ব্যাসেন সমান্নাতবন্তঃ ” তৎপরে তিনি বিভক্ত শাখার সংখ্যা এরূপে দিয়া থাকেন, “একবিংশতিধা বাহ চাং । একশতধ আধবর্য্যবং সহস্রধা সামবেদং । নবপা আথৰ্ব্বণং “ অর্থাৎ ঋগ্বেদের একবিংশ, যজুর্বেদের একশত, সামবেদের একসহস্র এবং অঞ্চ