পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিশিষ্ট। R\రి) নামিত হইয়াছে। কাহারও কাহারও মতে প্রত্যেক বেদশাখা এবং চরণের ণি পৃথক পৃথক ব্রাহ্মণ ছিল। e বেদোক্ত গাথাসমূহের অর্থবিশেষ লইয়া কালে যে পুরাণ-তন্ত্রাদিৰ মত স্বষ্টি হইয়াছে, তাহার প্রথম বীজবপন ব্রাহ্মণে হয়। অষ্টাদশ পুরাণের আবির্ভাবের পূৰ্ব্বে ব্রাহ্মণগ্রন্থ সমুদায় পুরাণ বলিয়া খ্যাত ছিল। বেদের যে গানসমূহ কবিদিগের কণ্ঠ হইতে সরলতা ও ভক্তিতে সময়ানুরূপ যদৃচ্ছ নির্গত হইয়াছিল, তাহাৰ মধ্য হইতে ব্রাহ্মণে বিশেষ বিশেষ কৰ্ম্মে বিশেষ বিশেষ গানের নিয়োগ হইয়াড়ে ও তাহদের গুহ্যতা প্রদর্শিত হইয়াছে। ব্রাহ্মণ দ্বারা এক দিকে প্র তিশিক্ষি ত সরল চিত্ত্বক্রিয়ার অপচয়, অন্য দিকে মস্তিষ্ক-বিলোড়িত জটিল তার বৃদ্ধি অবলোকিত হয়। উপনিষদ। ব্রাহ্মণের অন্তভাগকে উপনিষদ বা বেদান্ত বলে। ইহাতে একেশ্বরবাদ, জ্ঞানকাও বর্ণিত। যাহার। বাল্যে অধ্যয়নাদি সমাপন করিয়া, যৌবনে গৃহধৰ্ম্ম পালন করিয়া, বাৰ্দ্ধক্যে বানপ্রস্থ আশ্রয় করেন, উপনিষদ তাহদেরই জন্য নিদিষ্ট। আর্য্যদিগের নিকট শ্রুতিপ্রতিপাদক ধৰ্ম্মই আদরণীয়, তদ্ব্যতীত আর সমস্ত অগ্রাহ্য এবং হেয়। এইনিমিত্ত পরবর্তী সময়ে দর্শন বিজ্ঞান প্রভৃতি যাহা প্রচার হইয়াছে, তাহাদের সকলেই আত্মসমর্থনার্থে উপনিষদের কোন না কোন স্থলের আশ্রয় অবলম্বন করিয়াছে। এই কারণেই আরও পরে আরও নুতন প্রকারের তত্ত্ব প্রচার হওয়ায়, এবং তৎ প্রতিপোষক মত প্রাচীন উপনিষদসমূহে না পাওয়ায়, অনেক জাল উপনিষদ ও প্রণীত হইয়াছে। এখন সেই সকল জাল উপনিষদ ভ্রমবশতঃ প্রাচীন উপনিষদের ন্যায় মাননীয় হইয়াছে। পুরাতন ঔপনিষদিক তত্ত্বের সহ আধুনিক উপনিষদের উদ্ভাবিত তত্ত্ব তুলনা করিয়া দেখিলে, দেখিতে পাওয়াযায় যে, মানব-চিন্ত সারল্য ও বিশুদ্ধত হইতে কিরূপে কূটত্বে এবং অসম্ভবতায় পরিণত হইয়াছে। প্রাচীন উপনিষদসমূহের মধ্যে এমন মহারত্ব সকল নিহিত আছে, যে বোধ হয় মনুষ্য-চিত্ত তদতিরিক্ত গমনে অসমর্থ। উপনিষদের সেই সকল মহারঙ্গ সম্বন্ধে বিখ্যাত সংস্কৃতবিদ