পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] ভূ-বৃত্তান্ত । ર(t ধীরে ধারে ঋষিগণের আশ্ৰম অতিক্রম করিয়া, গঙ্গা পার হওনানন্তর বিশালারাজ্য প্রাপ্ত হইলেন, তথায় বিশ্রামপূর্বক জনকরাজ্য মিথিলায় উপস্থিত হইলেন।” প্রথমতঃ, এই পথবর্ণনে দেখা যাইতেছে যে, যাহাকে মগধদেশ বলিয়া ধরিয়া লওয়া যায়, তাহার মধ্য দিয়া আসিয়াও, মগধ’এইনামধারী কোন দেশের নাম উল্লেখ করা হইল না । দ্বিতীয়তঃ, আর একটী বিষয় জ্ঞাত হওয়া যাইতেছে। পথবর্ণনে বলা হইয়াছে যে, শোণনদ পার হইয়া, ঋষিগণের আশ্রম অতিক্রম করিতে করিতে তার পর গঙ্গ। পার হইয়া, উহার উত্তরে বিশাল প্রাপ্ত হওয়া যায়। তৎস্থলে গণ্ডকী নদী পার হওয়া বা তাহার নামমাত্রও উল্লেখ নাই। গঙ্গা পার হওনানন্তর, যদি গণ্ডকী পার না হইয়। বিশালা প্রাপ্ত হওয়া যায়, তবে নিশ্চয়ই পাটনায় না হউক পাটনার অতি নিকটেই গঙ্গা পার হইতে হয়। বুদ্ধদেবের সমকালিক অজাতশত্রু যৎকালে কুসুমপুর নগর স্থাপন করেন, (যাহার নাম সময়-পরিবর্তনে ক্রমে পাটলিপুত্র এবং পাটনা হইয়াছে) তৎকালে উহার চতুর্দিকে সমৃদ্ধিশালী জনপদ ছিল। এই পথবর্ণনে বাল্মীকি যখন বরাবর অভ্রান্তভাবে স্থান নির্দেশ করিয়া আসিয়াছেন, তখন এ খানেও যে ভ্রম হইতে আত্মরক্ষা করিয়াছেন তাহা গ্রাহ্য করিয়া লওয়া যাইতে পারে । কিন্তু তিনি প্রথমতঃ গণ্ডকীর নামমাত্র করেন নাই, দ্বিতীয়তঃ গঙ্গার দক্ষিণতীরে তপোবন ভিন্ন কুসুমপুর বা কোন জনপদের কথা কিছুমাত্র বলেন নাই ।