পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায়। ব্রাহ্মণবর্গ। 89 দ্বারা কি প্রমাণিত হয় ? যে যে অংশ উপরে উদ্ধত হইল, উহা সকলই অনাৰ্য্য লোকে আরোপিত ; সংস্কৃত তাহদের পক্ষে ভিন্ন ভাষা বলিয়া, আবশ্যক-মতে সংস্কৃত ব্যবহাৰ্য্য হেতু, ওরূপ উক্তি সম্ভব হইতে পারে। অনাৰ্য্যজাতির ভাষা আর্য্য ভাষা হইতে ভিন্ন, তাহ বাল্মীকি অনেক স্থলে বলিয়াছেন, এবং মনু-সংহিতার ১০ম অধ্যায়ের ৪৫ শ্লোক তাহার প্রতিপোষক । অতএব ইল্বল এবং হনুমানের মুখ হইতে সংস্কৃত বাক্য নির্গত হওয়ার সম্ভবত, ংস্কৃত তৎকালিক কথনীয় কি শিক্ষণীয় ভাষা, এতৎসম্বন্ধে প্রমাণরূপে গৃহীত না হইতে পারে। কিন্তু তাহদের বাক্য দ্বারা ইহা স্পষ্ট সূচিত হইতেছে যে, দ্বিজাতি অর্থাৎ আর্য্যগণের চলিত ভাষা সংস্কৃত, এবং কথা বার্তায় র্তাহারা সেই ভাষা ভিন্ন অন্য ভাষা ব্যবহার করিতেন না। আবার তৎপাশ্বে “মনুষ্য ইব সংস্কৃতং’ থাকায় জানা যাইতেছে যে, আর একটী সাধারণের নিমিত্ত গ্রাম্য সংস্কৃত ভাষা ছিল। দ্বিজাতিগণ প্রায় সৰ্ব্বদাই শিক্ষিত, সুতরাং তঁহাদের বাক্য-কথন মার্জিত হইবারই সম্ভব ; কিন্তু অশিক্ষিত সাধারণের পক্ষে তাহা নহে, তাহাতে গ্রাম্যতা দোষ প্রবেশ অবশ্যই কৱিবে । অতএব উক্ত দুইরূপ বাক্য-কথনের প্রভেদ, কেবল মার্জিত ও অমার্জিত এতদুভয়ের প্রভেদমাত্র, কিন্তু ভাষা এক। এবং সে ভাষা কি, তাহা “সংস্কৃত’ শব্দ উচ্চারণ দ্বারাই স্পষ্টভাবে ব্যক্ত হইয়াছে। সুতরাং অন্য কোন প্রমাণের অভাব হইলেও কেবল ইহা দ্বারাই সিদ্ধান্ত করা যাইতে পারে যে, তখন সংস্কৃত চলিত ভাষা ছিল ।