পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । দ্বিতীয় অধ্যাপক বেনফি সংস্কৃতের মৃত্যুকাল নির্ণয় করিতে গিয়া লিখিয়াছেন যে, সংস্কৃত মৃত হইলে পরে রামায়ণ মনুসংহিতাপ্রভৃতি রচিত হয়। র্তাহার বক্তব্য বিষয়ের সারাংশ এই ;– “খৃঃ পূঃ নবম শতাব্দী হইতে সংস্কৃত কথিত ভাষা হইতে নিবৃত্তি হইতে আরম্ভ করিয়া, খৃঃ পূঃ ষষ্ঠ শতাব্দীতে সম্পূর্ণরূপে নিবৃত্তি হয়। এরূপ বিবেচনার কারণ এই, মগধরাজ অশোকের সময়ে দেখা যায় যে, মাগধী ও গুজরাটী ভাষা বিশেষ সমৃদ্ধিমতী, এবং ঐ সকলের আকৃতি ও গঠনে অনুমান হয় যে, উহারা সংস্কৃতের সহ পাশ্ববৰ্ত্তী না থাকিয়া স্বাধীনভাবে প্রচলিত ছিল । সুতরাং অশোকের পূর্বেই সংস্কৃতের মৃত্যু নিৰ্দ্ধারণ করা যায়। এতদ্বারা ইহা বোধ হইতে পারে যে, বুদ্ধের তিন শত বৎসর পরে ঐরূপ অনুমানসিদ্ধ সংস্কৃতের মৃত্যুঘটনা হইয়াছিল, কিন্তু তাহা নহে। আবার বুদ্ধের সাময়িক বৃত্তান্তে জানা যায় যে, সেই সময়ে সংস্কৃতের পরিবর্তে পালি পবিত্র ভাষা বলিয়া গৃহীত হইয়াছিল। অতএব ইহা দ্বারা ইহাও সিদ্ধান্ত যে, বুদ্ধের সময়েতেও সংস্কৃত মৃত হইয়াছে, নতুবা পালি পবিত্র ভাষারূপে কেন গৃহীত হইবে । পুনশ্চ বহুকালস্থায়ী ভাষার মৃত্যু এক দিনে সাধিত হয় না, এনিমিত্ত তৎপরিমাণ কাল ৩০০ বৎসর নির্দিষ্ট করিলে, খৃঃ পূঃ নবম শতাব্দীতে সংস্কৃতের পতন আরম্ভ হইয়া, ষষ্ঠ শতাব্দীতে অর্থাৎ বুদ্ধের সময়ে সম্পূর্ণরূপে সমাধা হইয়াছে। বহুকাল পরে হিন্দুরা যখন দেখিলেন যে, তাছাদের চিরপ্রথা বৌদ্ধগণ দ্বারা আক্রমিত হই