পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] ব্রাহ্মণবর্গ। S& য়াছে, তখন তাহারা লব্ধসংজ্ঞ হইয়া, মনুসংহিতা, রামায়ণ প্রভৃতি গ্রন্থ সংস্কৃত ভাষায় রচনা করিয়া উহা বহু পুরাতন বলিয়া প্রচার করিলেন । এই সকল পুস্তকের ভাষা দেখিলে কখনই বিবেচনা করা যায় না যে, উহারা চলিত ভাষায় লিখিত ; বরং ইহাই প্রতিপন্ন হয় যে, খৃষ্টীয় শকের মধ্যম কালে লাটিন মৃত হইয়াও যদ্রুপ ইউরোপ ভূভাগে প্রচলিত হইয়াছিল, রামায়ণ প্রভূতির রচনার সময়েও সংস্কৃত ভারতে তদ্রুপ ভাবে প্রচলিত ছিল। এই সময়েই কিছু কালের জন্য আদর বৃদ্ধি হইয়। রাজসভা, আদালত প্রভৃতিতে সংস্কৃত ক্ষণিক প্রচলিত হয় । অপরঞ্চ, সংস্কৃতে সন্ধি ও সমাসকরণ প্রথাতেও সাক্ষ্য দিতেছে যে, সংস্কৃত তৎকালে চলিত ভাষা ছিল না, যেহেতু ওরূপ নিয়ম-সাধিত দীর্ঘায়তন বাক্য সাধারণ কথা বার্তায় ব্যবহারযোগ্য নহে।” ফলতঃ অনেক বিজাতীয় পণ্ডিতই বাল্মীকির বহু পূর্বে সংস্কৃতকে নিপাত করিয়াছেন ; আমাদের ইচ্ছা যে বেনফির সিদ্ধান্ত অবলম্বন করিয়া কিছু বলি। কোন ভাষায় যত দিন লিপি প্রণালী প্রচলিত না হয়, তত দিন তাহার শব্দসমূহের আকৃতিগত বৈলক্ষণ্য শিক্ষিত অশিক্ষিত অনুসারে তারতম্য-যুক্ত লক্ষিত হয় না। পূর্ব বঙ্গ এবং কলিকাতার কথার ন্যায় অবস্থা ও স্থান-ভেদে উচ্চারণ-বৈষম্য জন্মিতে পারে, কিন্তু ভাষা এক হইলে সাধু বা ইতর এরূপ বৈলক্ষণ্য প্রাপ্ত হয় না। যাহা সৰ্ব্ব সাধারণের ব্যবহৃত, তাহ অনায়াসহেতু একরূপই হইয়া থাকে। যদি কিঞ্চিৎ পৃথকৃত্ব শ্রেণীবিশেষের জন্য নিরূপিত হয়, তবে