পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ।] ব্রাহ্মণবর্গ। । go বাঙ্গলার সহ মিলাইয়া মনে করা সম্ভব হয় যে বাঙ্গলা মৃত হইয়াছে, তাহা হইলে প্রাচীন কালীয় ভিন্ন ভিন্ন প্রাদেশিক ভাষা দেখিয়াও মনে করিতে পারি যে সংস্কৃত তৎকালে মৃত হইয়াছিল। বস্তুতঃ সংস্কৃত স্বয়ং একটী ভিন্ন ভাষা নহে, আর্য্য-ভাষার উন্নত অংশমাত্র সংস্কৃত, অসংস্কৃত অংশ প্রাকৃত অর্থাৎ সাধারণ প্রচলিত –প্রচলন সম্বন্ধে যে কোন সময়ে একের অস্তিত্ব নিরূপিত হইলে অপরের অস্তিত্ব স্বতই নিরূপিত হয় । যিনি প্রাচীন প্রবাদ বা প্রচলিত রীতির উপর কিছুমাত্র মূল্য অবধারণ না করেন, তাহার ঐতিহাসিক আলোচনার দৌড় অতি সামান্য। সংস্কৃত নাটকাদির মধ্যে যে সকল ব্যক্তি শিক্ষিত স্থলে গণ্য, তাহদের মুখে বিশুদ্ধ সংস্কৃত, অপরাংশের মুখে পত্রি-ভেদে নানারূপ প্রাদেশিক ভাষা যোজিত হইয়া থাকে। অনেক বিজাতীয় পণ্ডিতের এরূপ বিশ্বাস যে একপ্রকার শোভার জন্য তদ্রুপ করা হইয়া থাকে, কিন্তু তাহা নিঃসন্দেহ ভ্রান্তি। নাটকাদিতে যেরূপ প্রদর্শিত হইয়াছে তাহাতে জানা যায় যে, ব্যক্তিভেদে যদিও কথা ভেদ, কিন্তু পরস্পরের মধ্যে বিনানুবাদক-সাহায্যে বোধগম্য ; ইহা ভাষার কোনরূপ অবস্থায় হইয়া থাকে ? র্যাহারা আপত্তি করেন যে সংস্কৃতে যে সকল ধাতু নাই, এমন অনেক ধাতু এই সকল ভাষায় দেখিতে পাওয়া যায় এবং তন্নিমিত্ত তাহদের উৎপত্তির কিয়ৎ পরিমাণে স্বাধীনতা ও সংস্কৃত হইতে স্বাতন্ত্র্য স্বীকার করিতে হয়। র্তাহীদের সেই আপত্তির আমরা এই উত্তর দিই যে নিজ