পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

#|s ৰাক্ষ্মীকি ও তৎসামরিক বৃত্তান্ত । হইবে ? যদি মানবজীবন বা তৎসমষ্টির আবির্ভাব, উন্নতি ও অবনতি এবং তাহার পুনরুদয় ও তদানুষঙ্গিক বৃত্তি-সমুদয়ের যথার্থ প্রতিকৃতি যদ্বারা প্রদশিত হয়, তাহাকে ইতিহাস-পদে বাচ্য করা যায়, তবে আমাদের সংস্কার নিৰ্মূল না হইয়া আরও দৃঢ় হইবার কথা। আমাদিগের বিবেচনায় উহাই প্রকৃত ইতিহাস, এবং রাজবংশ বা ঘটনাবলীর নামমালা বা যুদ্ধকৌশল বর্ণন উহার সংযোগস্থলমাত্র।” ইতিহাসকে সম্ভবতঃ দুই ভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে। যাহাতে রাজাবলী, রাজকীৰ্ত্তি এবং কালনির্ণয় প্রভৃতির প্রাধান্য, তাহাকে আখ্যানময় বলা যায় ; আর যাহাতে “মানবজীবন বা তৎসমষ্টির আবির্ভাব, উন্নতি ও অবনতি এবং তাহার পুনরুদয় ও তদানুষঙ্গিক বৃত্তিসমুদয়ের যথার্থ প্রতিকৃতি” প্রকাশিত হয়, তাহা বিজ্ঞানময় । তন্মধ্যে শেষোক্তই যে উৎকৃষ্ট, তাহার সন্দেহ নাই। এই বিশ্বরূপ নাট্যশালায় সংসার-নাটকে আমরা এক এক অভিনেতা, পূৰ্ব্বগত বিষয় অবগতি ও তাহার ভাব অভ্যাস দ্বারা পরস্থিত বিষয় কিরূপে অভিনয় ও তাহাতে কিরূপ রস উৎপাদন দ্বারা কৃতী হইতে পারিব, তদ্বিষয়ে বিজ্ঞানপ্রধান ইতিহাসই শিক্ষাদানে সুপটু। আখ্যানমন্ত্র ইতিহাস বিজ্ঞানময় ইতিহাসে প্রবেশার্থ সচ্ছল পথস্বরূপ। অবশুগন্তব্য স্থানে এবং তদভিমুখ সচ্ছল পথে যেরূপ সম্বন্ধ, বিজ্ঞানময় ইতিহাসের সহ আখ্যানময় ইতিহাসেরও সম্বন্ধ তদ্রুপ, সুতরাং বিজ্ঞজনেরা আখ্যানময় ইতিহাসের অভাবকে তত ক্লেশদায়ক বিবেচনা করেন না, যত বিজ্ঞানময় ইতিহাসের অভাবকে করিয়া থাকেন । ভারতের অতি প্রাচীনকালীয় আখ্যানময় ইতিহাস সৰ্ব্বাঙ্গীণভাবে নাই । কিন্তু কোন প্রাচীন দেশের সর্বাঙ্গীণভাবে আছে ? মিসর দেখ, অতি সামান্য। গ্রীস দেখ, ৭৭৬ খৃঃ পূর্বের ইতিহাস সমস্তই উপন্থাসময় এবং কাল অনির্ণীত, তাহার পর ৭৭৬ খৃঃ পূঃ হইতে আরম্ভ করির পিসিষ্ট্রেটসের রাজত্ব পৰ্য্যন্ত ইতিহাস দুই একটা সামান্য গল্পমাত্রে নিঃশেষিত হইয়াছে। রোমের দশা প্রায় মহাই। ভারতেও এরুপ সমসাময়িক সামান্য সত্য ইতিহাস না পাওয়া য়াগঞ্জমন নছে, তৰে বুদ্ধদেবের পূৰ্ব্বগত সকলই অন্ধকারে মাছর প্তাহার সন্দেছ নাই। কিন্তু এজন্য ভারত গ্রীস ও রোমের সছ তুলনায়