পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ।] ব্রাহ্মণবর্গ । ¢ፃ সকল ভিন্ন ভিন্ন স্বভাবের হইলেও তৎপথানুসারী, আবার যে সকল শাস্ত্র ভিন্নমতাবলম্বী, তাহারাও সন্ত্রম-রক্ষার্থে বেদবিহিত পথে ভক্তিযুক্ত। পবিত্র ইতিহাসাদির কথক এবং বিবিধ ক্রিয়া-কলাপের বিধি-প্রদায়ক (১।১৪।৪০) ব্রাহ্মণ এবং কল্পসূত্র ও (১৬১৫) ষড় বেদাঙ্গ অধ্যয়নের প্রধান অঙ্গ। বেদাঙ্গ ব্যতীত বেদ-বিদ্যা অধ্যয়ন সম্যক্‌ প্রকারে সাধিত হইত না । ভরতের আতিথ্য করিবার সময়ে ভরদ্বাজ ঋষি, দ্রব্যাদি আয়োজন ও সস্কুলনের নিমিত্ত, ২৯১২২–‘শিক্ষাস্বর-সমাযুক্ত সূক্ত পাঠ দ্বারা বিশ্বকৰ্ম্মাকে আহবান করিয়াছিলেন । ফলতঃ এই সময়ে উক্ত সমস্ত বিদ্যার বহুল চর্চা দৃষ্ট হয়। অতিপূর্বকালে ভিন্ন ভিন্ন বেদশাখা (৩) অধ্যয়ন ও অধ্যাপনের নিমিত্ত বহুসংখ্যক ব্যক্তি একত্র সমবেত হইয়া দলবিশেষ থাকিতেন । এ দলকে চরণ (৪) বলিত, এবং (৩) অতি কৌতুকের বিষয়! চিরবিশ্বাস যে রাম ত্রেতাযুগের, এবং বাল্মীকি তাহার যাইট হাজার বৎসর পূৰ্ব্বে অনাগত রামচরিত রচনা করেন।. বেদবিভাগকৰ্ত্ত সত্যবতী মুত কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস দ্বাপরে জন্মগ্রহণ করেন বলিয়া কথিত। বেদবিভাগ সম্বন্ধে নিরুক্তভাষ্যকার দুর্গাচাৰ্য্য বলিতেছেন “বেদং তাবদেকং সন্তমতিমহাদুধ্যেয়মনেকশাখাভেদেন সমান্নাসিযুঃ। মুখগ্ৰহণায় ব্যাসেন সমায়াতবন্তঃ।” ব্যাসের পূৰ্ব্বে বেদ অবিভক্ত থাকায় অধ্যয়নের পক্ষে অতিকষ্টকর হওয়ায়, তাহ সাধারণের নিকট সুগম করিবার নিমিত্ত ব্যাস কর্তৃক ভিন্ন ভিন্ন শাখায় বিভক্ত হয়। রামায়ণে (যেমন প্রদর্শিত হইতেছে) এই বেদশাখাসমূহের বহুল উল্লেখ আছে। (৪) “চরণশব্দঃ শাখাবিশেষাধ্যয়নপরৈকতাপন্নজনসঙ্ঘবাচী ।” চারণগণ চরণস্থ সকলের সন্মতি অনুসারে, কোন বিশেষ বিধি বদ্ধ করিয়া তদনুসারে চলিতেন। তদ্ভিন্ন এক চরণ হইতে অন্য অন্য চরণের ভিন্নভাবত্বপ্রতিপাদক বহুতর বিষয় ছিল । -