পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\be বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । দ্বিতীয় ভরতাদির জন্মনক্ষত্র-সম্বন্ধে “পুষ্যে জাতন্তু ভরতে। মীনলগ্নে প্রসন্নধীঃ । সাপে জাতে তু সৌমিত্রী কুলীরেহভূদিতে রবে ॥১৫” / ১১৮ সাপ—অশ্লেষা, কুলীর—কর্কট । ইত্যাদি। ইহার দ্বারা (৬) এক দৃশ্যতেই প্রদর্শিত হইতেছে যে আর্য্যেরা বাল্মীকির সময়ে জ্যোতিষতত্ত্ব-সম্বন্ধে আপনাদের দর্শন কতদূর বৃদ্ধি করিয়াছিলেন, এবং তাহা আপনাদের শুভাশুভে কিরূপ ভাবে নিয়োজন করিয়াছিলেন। স্থানান্তরে যুদ্ধকালীন ঘোর অমঙ্গলের চিহ্নস্বরূপ কথিত হই য়াছে যে, “খামং রুধিরপর্য্যন্তং বভূব পরিবেশনম্। অলাতচক্রপ্রতিমং প্রতিগুহ দিবাকরম্ ॥” ৩ ৩|২৩ --রুধিরবর্ণ-উপান্তভাগ-বিশিষ্ট অলাতচক্রপ্রতিম একটা শু্যামবর্ণ মণ্ডল সূৰ্য্যকে আবরিত করিল।—সম্ভবত এরূপ অদ্ভুত দৃশ্য বাল্মীকির সময়ে বা পূর্বে কখন দৃষ্ট হইয়াছিল। উহার অদ্ভুততাই উহাকে অমঙ্গল চিহ্নপদে আরোপিত করিবার হেতু । উহা কি, তাহা জ্যোতিষজ্ঞ পাঠকের মীমাংসা (৬) এই গ্রহনক্ষত্রাদির গতিসম্বন্ধে পরবর্তী হিন্দুজ্যোতিষের কতদূর সম্বন্ধ, ইহা যাহার দেখিতে ইচ্ছা হইবে এবং সঙ্কেত সহ ঘনিষ্টতা পরীক্ষা করিতে কৌতূহল জন্মিবে, তিনি স্বৰ্য্যসিদ্ধান্তের ফুটগতি নামক দ্বিতীয় অধ্যায় দেখিবেন ।