পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । দ্বিতীয় ما والا প্রকৃতির মহত্ত্বে তখনও এতদূর বিশ্বাস ছিল যে, বাল্মীকি সেই নরদেবের নিকট মনুষ্য-প্রকৃতির হেয়ত্ব এবং নীচত্ব প্রতিপাদন করিতে সাহস পায়েন নাই, অথবা তাহার মনে সে ভাব উদয়ই হয় নাই। এই বিষয় পরবর্তী শাস্ত্রগ্রন্থের তুলনায় দেখা যাউক, কত প্রভেদ দেখা যাইবে। অহল্য ইন্দ্র-সংস্রবে পতিত হইলে ঋষি গৌতম তাহাকে অভিশাপ প্রদান করিতেছেন “ৰাতভক্ষ্য নিরাহার। তপ্যন্তী ভস্মশায়িনী ॥ যদৈতচ্চ বনং ঘোরং রামে দশরথাত্মজঃ । আগমিষ্যতি দুৰ্দ্ধৰ্ষস্তদা পূত ভবিষ্যসি । তস্যাতিথ্যেন দুৰ্ব্বত্তে — । $185 নির্জনবাসিনী অনুতপ্ত অহল্যা রামের তপোবনে আগমন জ্ঞাত হওন মাত্রেই “শাপস্যাস্তমুপাগম্য তেষাং দর্শনমাগত। রাঘবে তু তদা তস্যাঃ পাদে জগৃহতুমুদ ॥” |8న পুরাণানুসারে পাষাণময়ী অহল্যা পুনৰ্জ্জীবন প্রাপ্ত হইলেন— “গচ্ছতস্তস্য রামস্য পাদস্পশান্মহাশিলা ।” পদ্মপুরাণ । রাম এই অদ্ভুত দর্শনে বিস্ময়াপন্ন হইয়া, ব্যাপারটা কি, তাহা বিশ্বামিত্রকে জিজ্ঞাসা করিলে, বিশ্বামিত্ৰ কহিতেছেন “তদজিঘ স্পর্শনাং তস্যৈ শাপান্তং প্রাহ গৌতমঃ। তস্মাদিয়ং তে পাদাজস্পশাৎ শুদ্ধাভবত প্রভো ॥” পদ্মপুরাণ। রামায়ণে গৌতম শাপ দিলেন যে, অহল্য বাতভক্ষ্যা, নিরা