পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২ বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । দ্বিতীয় গণের স্বতন্ত্র প্রথা লক্ষিত হয়। ৩৪২২—বিরাধ নামে রাক্ষস রামশরে অাঘতিত হইয়া, আসন্ন মরণ দেখিয়া, রামকর্তৃক তাহার দেহ যাহাতে ভূগর্ভে নিহিত হয়, তদ্বিষয়ে প্রার্থনা করিয়া কহিতেছে যে, ভূগর্ভে নিহিত হওয়াই রাক্ষসদিগের সনাতন ধৰ্ম্ম এবং স্বৰ্গলাভের উপায় । ৩। ব্রহ্মবিদ্যায় জ্ঞানকাণ্ড । এক্ষণে জ্ঞানকাণ্ডের আলোচনায় প্রবৃত্ত হওয়া যাইতেছে, সঙ্কীর্ণস্থানে সমাধা হওয়ার কথা নহে, সুতরাং যাহা যৎকিঞ্চিৎ হয়, তাহাতেই পরিতৃপ্ত হইতে হইবে । জ্ঞানকাও সম্বন্ধে রামায়ণে দুইরূপ মত দৃষ্ট হয়। একটা জবালিকর্তৃক রামকে প্রবোধ-প্রদান-স্থলে (২।১০৮) নিরীশ্বর ভাব । অপরটা যদিও ঐ মতের ন্যায় বিশেষরূপে বিবৃত নাই, কিন্তু কাৰ্য্য এবং বিশেষ বিশেষ বাক্য দ্বারা স্পষ্টরূপে উহা বেদান্তের ছায়াশ্রয়ী ইহা পরিজ্ঞাত হওয়া যায় । জাবালি যেরূপ মত বিস্তার করিয়াছেন, তাহ, ঐ সর্গের শেষ ভাগের “যথাহি চোর; স তথাহি বুদ্ধঃ” এই বাক্য থাকায়, অনেকে মনে করেন যে বুদ্ধমত। কিন্তু বৌদ্ধদিগের মধ্যে সোঁত্রান্তিক, যোগাচার, এবং বৈভাষিক এই মতত্রয়ের সহ জাবালিপ্রোক্ত মতের কোন সম্বন্ধ নাই । কেবল মাধ্যমিক মতের সহ মূল তত্ত্বের ঐক্যতা আছে মাত্র। তথাপি মাধ্যমিকদিগের মত জাবালির মতের ন্যায় হেয় এবং ঘৃণিতভাবাপন্ন নহে। জাবালির মতের অধিক ঘনিষ্ঠত চাৰ্ব্বাক দর্শনের সঙ্গে । এই সাধ্যসামাবলম্বনসাধিত