পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্মীকি ও জৎসামরিক বৃত্তান্ত । [क्जैिौब्र و ۹ মনুষ্য-শরীরে প্রবেশ করিয়া যথাক্রমে বাগিন্দ্রিয়, শ্বাসেন্দ্রিয়, দর্শনেন্দ্রিয়, শ্রবণেন্দ্রিয়, কেশাবলী, মন, প্রাণবায়ু এবং উৎপাদিকা শক্তি এই সকলের অধিষ্ঠাতা ও পরিরক্ষকভাবে অবস্থিতি করিলেন। অনন্তর পরমাত্মা স্বফ্ট সমস্তে প্রবেশ করিয়া তাহাদিগকে প্রদত্ত যে স্বভাব, তাহ ব্যক্ত করিলেন ; এ নিমিত্ত সাকার নিরাকার, সৎ, অসৎ, বিদ্যা অবিদ্যা, উভয়বিধ ভাবই তাহাতে আশ্রয় করিল। (১৮) যেমন প্রজ্বলিত অগ্নি হইতে শত শত ফুলিঙ্গ বাহির হয়, এবং সেই স্ফুলিঙ্গ ও অগ্নি যেমন এক পদার্থ, অথবা আকাশ যেমন ঘটে আবদ্ধ হইলেও স্বভাবযুক্ত আকাশসহ একই পদার্থ, তদ্বৎ জীবাত্মা সেই পরমাত্মা হইতে নিৰ্গত হইয়া স্থােট বস্তুমধ্যে প্রবেশ করিয়া অবিদ্যাবদ্ধ (১৯) হওত তাহার ব্যক্ততার কারণ হই (১৮) বেদান্তদর্শনের শাস্করভাষ্যমতে ঈশ্বর সত্য, আর সমস্ত অসত্য অর্থাৎ অবিদ্যা বা মায়। এই স্বষ্টি সেই অবিদ্যা-প্রপঞ্চ । অবিদ্যার অাবরণশক্তি ও বিক্ষেপশক্তি, এতদুভয়শক্তিবশে জীবাত্মা অবিদ্যায় আবদ্ধ হইয়া থাকে । অবিদ্যা কৰ্ম্মফলশ্রয়ী, তন্নিমিত্ত ক্ষণে উন্নত ক্ষণে অবনত ফল প্রাপ্ত হয় । জীবাত্মা যখন এই অবিদ্যা-বন্ধন ছেদ করিয়া পরমাত্মার সহ সাক্ষাৎকার করে, তখনই জীবাত্মার মোক্ষ সাধন হয় । পুনশ্চ মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্রে “ব্রহ্মাদিতৃণপৰ্য্যন্তং মায়য়া কল্পিতং জগৎ,” এবং “স্বমায়া-রচিতং বিশ্বং” ইত্যাদি । অবিদ্যা দ্বারা জীবাত্মা আবদ্ধ হইতে পারে কি না তাহ সাংখ্য হুত্রের প্রথমাধ্যায়ে ২০, ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ সংখ্যক স্থত্রে মীমাংসিত হইয়াছে।–“নাবিদ্যাতোইপ্যবস্তুনা বন্ধাযোগাং” ইত্যাদি । ব্রহ্মে এই বিশ্ব যেরূপে নির্ভর করিয়া আছে, তাহা সুন্দরভাবে শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের প্রথমে নদী ও চক্রের রূপকে অতি সুন্দরভাবে প্রদর্শিত হইয়াছে। (১৯) শ্রুতির ভিন্ন ভিন্ন গ্রন্থে একরূপ অর্থে ভিন্ন ভিন্ন কথা ব্যবহৃত হইয়াছে। আমরা তজ্জন্য একতা-রক্ষার্থে, শ্রুতিবিশেষের একার্থক বিভিন্ন শব্দসমূহের পরিবর্তে স্থলে স্থলে অর্থের সামঞ্জস্য এবং একতা রক্ষার্থে ৰেদাত্মস্থত্রে ব্যবহৃত প্রতিশব্দ ব্যবহার করিব । অবিদ্যাও তাহাই ।