পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

lợc ৰাক্ষ্মীকি ও তৎসাময়িক বৃদ্ধান্ত । প্রস্থত সদগ্রন্থ এবং সাগ্রন্থকারের উৎপত্তি সম্ভবে না। অধিক কথা কি, বঙ্গদর্শনের জন্মের পূৰ্ব্বে স্বাধীন চিন্তা-প্রস্থত চিন্তাশীল উৎকৃষ্ট প্রবন্ধ বঙ্গভাষায় অতি অল্পই দেখিয়াছি। এজন্য কাহার দোষ কীৰ্ত্তন করিব ? সকল দেশেরই বিদ্যাবিষয়ক ইতিহাস আলোচনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায় ষে, জাতীয় সাহিত্য ও বিজ্ঞান প্রভৃতি দ্বিবিধ কারণের সমাবেশে পূর্ণতা প্রাপ্ত হইয়া থাকে। প্রথম, জাতীয় বিদ্যার শৈশবে রাজপ্রদত্ত উৎসাহ ; তাহাতে যদি আবার ধনশালীরা যোগ দেন তবে সোণায় সোহাগ', এইজন্যই ইংরেজি শৈশবকাল এত শীঘ্ৰ উত্তীর্ণ হইতে এবং শৈশবেই ভাবী গৌরবের চিহ্ন দেপাইতে সক্ষম হইয়াছিল। দ্বিতীয়, এইরূপ উৎসাহে যখন জাতীয় বিদ্যা কিয়ৎপরিমাণে পুষ্টতা প্রাপ্ত হয়, তখন সাধারণ উৎসাহ রাজদত্ত উৎসাহের স্থলাধিকার করে ; তাহাতেই উহা আপন পূর্ণতা প্রাপ্ত হইয় নিজ গৌরব বিস্তারে সমর্থ হয়। এ দেশে রাজপ্রদত্ত উৎসাহের কথা কহ। অপেক্ষ চুপ করায় পুণ্য আছে। রাজদত্ত উৎসাহ না আছে এমন নহে, অনেক সৌভাগ্যবান গ্রন্থকার ছোটকৰ্ত্তার সহাস্য বদন দেখিয়া চরিতার্থতা লাভ করিয়া থাকেন। উৎসাহদান ধনশালীদিগের সর্বদেশে ও সৰ্ব্বকালেই স্বেচ্ছাধীন, দিলে যশ আছে, ন দিলে নিন্দা নাই। সাধারণ উৎসাহ সম্বন্ধে স্বদেশ-ভাষার উপর লোকের যাদৃশ রুচি উপরে উক্ত হইয়াছে, তাহাতে বঙ্গে সাধারণের উৎসাহের সময় আসিতে এখনও অনেক দিন আচে । সুতরাং যে মহাত্মান্বয়ের নাম উপরে করিয়াছি, তাহাদের ন্যায় ব্যক্তির উদ্ভব ভারতভাগ্যে এখনও বহুদিনসাপেক্ষ । - সে যাহা হউক, দুস্তর সাগরবন্ধনে ক্ষুদ্র কাঠবিড়ালও বহুসাহায্যদানে সক্ষম হইয়াছিল। কিয়ংপরিমাণে ঐতিহাসিক তত্ত্ব সংগ্ৰহ করিতে পারিলেও, ভবিষ্যৎ ইতিহাসকারের অনেক সাহায্য হইতে পারিবে এই বিৰেচনায়, আমি শাস্তাদি-দর্শনকালীন, দৃষ্টপুস্তকসমূহ হইতে নিম্নমত বিষয়বিভাগে ভারতীয় ঐতিহাসিক তত্ত্ব সংগ্ৰহ করিতেছিলাম। ১। প্রথম পৰ্ব্বে—ঋগ্বেদ দৃষ্টে ভারতবর্ষের যে সকল আদিম অধিবাসীদিগকে দম্য বা দাস বলিয়া বেদ-চতু য়ে কথিত, তাহদের প্রকৃতি, আচার, ৰ্যবহার, রীতি, নীতি প্রভৃতি নিরূপণ। আর্য্য কাহার, এবং ভাষাতত্ত্ব