পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৯২

জধ্যায় ।] ব্রাহ্মণবৰ্গ । ዓ፭ জীবশরীরে অন্নময়-কোষাবলম্বনে মনোময় কোষ, তদবলম্বনে বিজ্ঞানময়, অনস্তর যথাক্রমে জ্ঞানময় এবং আনন্দময় কোষের অবস্থান। অঙ্গুষ্ঠ-পরিমাণ সূত্রান্ত জীবাত্মা এই আনন্দময় কোষাবলম্বনে অবস্থিতি করেন । ইহঁার অবস্থা চারি প্রকার। প্রথমে বৈশ্বানর, ইনি শরীরস্থ হইয়া তাহাকে পরিচালনা করেন। ইহা জীবের জাগ্রদবস্থা। এই সময়ে জীবাত্মা উনবিংশ ইন্দ্রিয়,২৪)বিশিষ্ট হইয়া স্থল বস্তু ভোগ করিয়া থাকেন । দ্বিতীয় তৈজস, উহা জীবের স্বপ্রাবস্থা, এই সময়ে উক্তরূপ ইন্দ্রিয়বিশিষ্ট পুরে থাকিয়া সূক্ষ বস্তু ভোগ করিয়া থাকেন। তৃতীয় প্রাজ্ঞ, ইহা সুষুপ্তাবস্থা, ঐরূপ পুরে আবদ্ধ থাকিয়া পরমানন্দ ভোগ করেন। চতুর্থ সর্ববন্ধন-বিচ্ছিন্ন ব্রহ্ম। এই চতুৰ্ব্বিধ ভাব যথাক্রমে ‘অ, উ,’ ‘ম, এবং ‘ওমৃ’ দ্বারা সাধিত হয়। বৈশ্বানর ভাবে জীবাত্মার অবস্থান দক্ষিণনেত্রে, তৈজসভাবে মনোমধ্যে, প্রাজ্ঞভাবে অন্তর-আকাশে —অন্তর হইতে একশত এক নাড়ীর উৎপত্তি, প্রত্যেকে শতধা বিভক্ত, সেই প্রত্যেকের আবার ৭২০ ০০ উপশাখা আছে। (২৫) সুতরাং সমস্ত সঙ্কল্প হইতে চিত্ত, চিত্ত হইতে ধ্যান, ধ্যান হইতে বিজ্ঞান, বিজ্ঞান হইতে ক্ষমতা, ক্ষমতা হইতে অন্ন, অন্ন হইতে জল, জল হইতে তেজ, তেজ হইতে আকাশ, আকাশ হইতে স্মৃতি, স্মৃতি হইতে আশা, আশা হইতে প্ৰাণ । এই প্রাণকে যে সাধনা দ্বারা জ্ঞাত হইতে পারে সেই অতিবাদী। এতদ্রুপ ভগবদগীতায় ৩৪২] শরীর হইতে ইন্দ্রিয় শ্রেষ্ঠ, ইন্দ্রিয় হইতে মন, মন হইতে বুদ্ধি, বুদ্ধি হইতে আত্মা । পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়, পঞ্চ কৰ্ম্মেন্দ্রিয়, পঞ্চ বায়ু, মন, বৃদ্ধি, অহঙ্কার ও চিত্ত | (২৫) ব্ৰহ্মা গুপুরাণেও “দ্বিসপ্ততিসহস্রাণি” ইত্যাদি।