পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ե8 বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । দ্বিতীয় নানানামবিশিষ্ট নদীসমূহ পৃথক পৃথক্ বোধ হইলেও, সমুদ্রে পতিত হইলে আর যেমন তাহার পৃথকৃত্ব থাকে না, মায়াপাশচ্ছিন্ন জীবাত্মা ও পরমাত্মায় তদ্রুপ সম্বন্ধ । (৩৪) কিন্তু কথিত হইয়াছে যে উহা কৰ্ম্মকাণ্ড দ্বারা সাধিত হয় না। পরমাত্মা যখন বাক্য মন নেত্র কর্ণাদির অগোচর, তখন একমাত্র যাহাতে র্তাহার অস্তিত্ব জ্ঞাপন করিতেছে, কেবল তাহার দ্বারাই তাহাকে জ্ঞাত হওয়া যায়। যখন জীবাত্মা নিষ্কাম হইয়া কেবল পরমাত্মায় মনোনিবেশ করিয়া আমিই অন্ন, আমি অন্নের ভোক্ত, আমি তাহার একীভূত কারণ, আমিই বিশ্বের আদিতে জন্মগ্রহণ করিয়াছি, দেবতাদিগের পূর্ব হইতেও আমি অমৃতত্ব ভোগ করিতেছি, আমি সূর্য্যের ন্যায় তেজস্বী, এইরূপ জ্ঞানযুক্ত হইয়া ও জগৎ সমস্ত ঈশ্বরময় জ্ঞান করিয়া, পরমাত্মা সহ আপনার একত্ব অবলোকন করিয়া থাকে, সেইই পরব্রহ্মকে প্রাপ্ত হইয়া আনন্দধাম অধিকার করিয়া থাকে । তীর্থাদি সমস্ত তখন তাহার "জ্ঞেয়: স নিত্যঃ সন্ন্যাসী যো ন দ্বেষ্টি ন কাজক্ষতি। নিদ্ব দ্ৰোহি মহাবাহো সুখং বন্ধাৎ প্রমুচ্যতে ॥” ইহ। ২১৭-১৮ শ্লোকের যদিও কিঞ্চিৎ বিরোধি, তথাপি তৎপরে ও পূৰ্ব্বে জ্ঞানলাভ সত্ত্বেও কৰ্ম্মের আবশ্যকতা দেখান হইয়াছে ৷ ২২৫ অজ্ঞান ব্যক্তি যদ্রপ কৰ্ম্মে রত থাকে, জ্ঞানযুক্ত ব্যক্তিও তদ্রুপ, লোক-হিতার্থে, লোকসংগ্রহার্থে এবং অজ্ঞান ব্যক্তিদিগকে প্রবৃত্তিপ্রদানার্থে, কৰ্ম্ম অনুষ্ঠান করিবেন। (৩৪) মায়াতে আবদ্ধ আত্মা ও পরমাত্মায় কিরূপ সম্বন্ধ তাহা অতি সুন্দরভাবে, একবৃক্ষারূঢ় পক্ষিদ্বয়ের রূপকে, শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে দেখান হইয়াছে, “দ্বাস্তুপর্ণস্বযুজা” ইত্যাদি। "