পাতা:বাল্মীকি রামায়ণ (অরণ্য কাণ্ড) - জি পি বসু.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ a : রামায়ণ । করিয়াছে। সে যুদ্ধে খর ও দূষণকে নিপাত করিয়া ত্রিশিরাকে ও রণশারী করিয়াছে। দণ্ডকারণ্য এখন নির্ভয় করিল। মারীচ ! পিতা ক্রুদ্ধ হইয়া যাহাকে ভাৰ্য্যার সহিত নির্বাসিত করিল, সেই ক্ষীণপ্রাণ ক্ষত্রিয়াধম আমার সমস্ত রাক্ষস সৈন্য নির্মুল করিয়াছে। সে দুঃশীল, কুর, উগ্রপ্রকৃতি, মুখ, লুব্ধ ও অজিতেন্দ্রিয় । তাছার ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম কিছুই নাই, সে কেবল জীবগণের অহিতাচরণই করিয়া থাকে । যে বিনাপরাধে কেবল বলদপে আমার ভগিনীকে নাস কর্ণ ছেদন দ্বারা বিরুপিণী করিয়া দিয়াছে, আমি তাহার দেবরূপিণী ভাৰ্য্যা সীতাকে স্ববিক্রমে জনস্থান হইতে নিশ্চয়ই আনিব । হে মহাবল ! তুমি পাশ্বে থাকিয়া আমার সহায় হইলে ভ্রাতৃগণের সহিত আমি দেবগণকেও গণনা করি না । অতএব তুমি আমার সহায় হও, তুমিই এই কাৰ্য্যে সম্পূর্ণ সমর্থ। কি বীৰ্য্যে, কি যুদ্ধে, কি বলদপে তোমার তুল্য আর কেহ নাই। তুমি উপস্থাবধারণে মহাবীর, মায় বিস্তারে বিলক্ষণ দক্ষ । এই জন্যই তোমার নিকট উপস্থিত হইয়াছি । এক্ষণে আমার সাহায্যবিষয়ে তোমায়ু যাহা করিতে হুইবে তাহ আমি বলিতেছি, শ্রবণ কর । তুমি রজতবিন্দু বিচিত্রিত সুবর্ণময় মৃগ হইয়৷ সেই রামের আশ্রমে গমনপূর্বক সীতার সম্মুখে বিচরণ কর । সীতা বিচিত্র মৃগরূপী তোমাকে দেখিয়া নিশ্চয়ই তাহার স্বামী রাম ও লক্ষণকে বলিবে,—“এই মৃগ আমায়ু ধরিয়া দাও”। অতঃপর রাম ও লক্ষণ আশ্রম হইতে নির্গত হইলে শূণ্য আশ্রম পাইয়া অবাধে পরম সুখে রাহু যেমন চন্দ্র প্রভাকে গ্রাস করে, সেইরূপ সীতাকে হরণ করিব ।